সুপার কাপ (Super Cup 2024) খেলতে ভুবনেশ্বরে চলে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। শেষ কয়েকদিন নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার নেওয়া নিয়েই আলোচনা ইস্টবেঙ্গলে। কুয়াদ্রাতের পছন্দের স্প্যানিশ উইঙ্গার ইয়াগো ফালকে শেষ কয়েকদিন সবার থেকে এগিয়েছিলেন। তবে সেই ডিল ফাইনাল হবে কিনা তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
জুভেন্টাস, রোমা, টোটেনহ্যামের মতো ক্লাবে খেলা এই ফুটবলার চোটের জন্য দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে। তাই তাঁকে বাকি মরশুমের জন্য সই করাতে চাইছে না ম্যানেজমেন্ট। এক মাসের চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে, গোটা মরসুমের চুক্তি হবে তাঁর সঙ্গে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি নন ইয়াগো। শেষ দু'দিন এই নিয়ে টালবাহানা চলছে। কর্তারা যদিও আশাবাদী চুক্তির কাজ শেষ করে, সুপার কাপের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে তাঁকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে। তবে বাস্তবে বিষয়টি কঠিন জেনেই শেষ মুহূর্তে দলের সঙ্গে ভুবনেশ্বর নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিভেরিওকে। ফালকে দলের সঙ্গে যোগ না দিলে সিভেরিও আরও একটা সুযোগ পেতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সুপার কাপে নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে ফের জায়গা পাকা হতে পারে তাঁর।
তবে প্রথম ম্যাচের আগেই সিভেরিওকে রেজিস্ট্রেশন করানো হবে, নাকি ইয়াগোর জন্য সুপার কাপের রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন ১৩ জানুয়ারি অবধি অপেক্ষা করা হবে, তার নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে আজ। এর মধ্যেই নিখিল পুজারিকে দলে পেতে সবরকম চেষ্টা করছে ইস্টবেঙ্গল। কুয়াদ্রাত কথা বলছেন নিখিলের সঙ্গে। ইস্টবেঙ্গল হায়দরাবাদ এফসি-কে প্রস্তাব দিয়েছে নিখিলের সঙ্গে সুহেরের সোয়্যাপ ডিল করার। সুহেরকে হায়দরাবাদ নিতে রাজি হলেও, নিখিলকে পেতে বাড়তি অর্থ অবশ্যই দিতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
রবিবার দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। বেশ কিছুটা সময় অনুশীলন সেরে বিকেলে ভুবনেশ্বর রওনা দিল লাল-হলুদ। মঙ্গলবার হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে সুপার কাপে প্রথম ম্যাচ। রিজার্ভ দলের তন্ময় দাস, জেসিন টিকে-সহ তিন ফুটবলার সঙ্গে গিয়েছেন।