ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) ফিরলেন দেবজিৎ মজুমদার (Debjit Majumder)। দু'বছরের চুক্তিতে লাল-হলুদ ব্রিগেডে সই করলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর এজেন্টের সঙ্গে কথা চালায় লাল-হলুদ কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল টেস্টের পর মঙ্গলবারই ক্লাবের চুক্তিপত্রে সই সারেন তিনি। সই করার পর তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'কলকাতায় ফিরতে পেরে অবশ্যই খুশি। ইস্টবেঙ্গল আমার উপর ভরসা রেখেছে। তার মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করব।'
ইস্টবেঙ্গলে বঙ্গসন্তানের এটি তৃতীয় ইনিংস। ২০১১-১২ মরশুমে ট্রেভর মরগ্যান জমানায় দেবজিৎ ছিলেন ইস্টবেঙ্গলে। তারপর ২০২০-২১ মরশুমে ফের লাল- হলুদ জার্সি গায়ে দেখা যায় তাঁকে। চলতি মরশুমে প্রভসুখন সিং গিল ছিলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের প্রথম পছন্দ। তিনি ছাড়া স্কোয়াডে কোনও অভিজ্ঞ গোলরক্ষক নেই।
দীর্ঘকায় কমলজিৎ সিং ভরসা দিতে ব্যর্থ। ফলে একজন অভিজ্ঞ গোলরক্ষকের সন্ধানে মরিয়া ছিল ম্যানেজমেন্ট। আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বে অসাধারণ পারফর্ম করেন দেবজিৎ। বিশেষ করে যুবভারতীতে প্রায় একাই রোখেন জেসন কামিন্সদের। চলতি মরসুমে সুপার কাপ জিতেছে কুয়াদ্রাত ব্রিগেড। আগামী বছর এএসিএল টু কোয়ালিফায়ার্স খেলবে তারা।
কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরামর্শ মেনে দলগঠনের কাজ চলছে নিঃশব্দে। ইতিমধ্যেই স্প্যানিশ মিডিও তালালকে পাকা করেছে ম্যানেজমেন্ট। ক্লেটন সিলভা ও সাউল ক্রেসপোও চুক্তিপত্রে সই করে দেশে ফিরেছেন। সূত্রের খবর, জর্ডনের ডিফেন্ডার হিজাজে মাহেরও যে কোনও দিন সই করবেন। জামশেদপুর এফসি'র লেফট ব্যাক প্রভাত লাকড়া ও হায়দরাবাদের মার্ক জোথানপুইয়াও।
সই করলেও, তিনি কি খেলার সুযোগ পাবেন? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন দেবজিতের সামনে। কারণ এই মরসুমে প্রভসুকান গিল মাত্র একটা ম্যাচে খেলেননি। তাও আবার কার্ড সমস্যা থাকায়। সেই ম্যচেই পঞ্জাবের বিরুদ্ধে নেমে প্রসুকান গিল একেবারেই ভাল খেলতে পারেননি। তাঁর ভুলে ম্যাচ হেরে সুপার সিক্সের আশা শেষ হয়ে যায় লাল-হলুদের। এবার দেবজিত খেলার সুযোগ পাবেন। কারণ, পরের মরসুমে প্রচুর ম্যাচ। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুতে খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।