আগামী দশদিনের মধ্যে আপিল করতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছে আপিল করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার এই কথা জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। আনোয়ার আলির দলবদল বিতর্কে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি মঙ্গলবার সকালে তাদের সিদ্ধান্ত জানায়।
কী কী শাস্তির কথা জানিয়েছে AIFF?
আনোয়ার আলিকে চার মাসের জন্য নির্বাসন এবং ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসিকে দুটো ট্রান্সফার উইন্ডোতে ফুটবলার নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও আনোয়ার,ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসির ওপর মোট বারো কোটি নব্বই লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল আগে জানিয়েছিল তাদের বিষয়টি আইনজীবী দেখছে এবং তারা আপিল করবে। সেইমত দেবব্রত সরকার জানান আপিল করার বিষয়টি নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে জানানো হয়েছে।
কেন তারা আপিল করছেন?
কেন এ পথে হাঁটছেন তাও জানানো হয়েছে। তবে ইস্টবেঙ্গল আনোয়ার আলি এবং দিল্লি এফসি আলাদা আলাদা করে আপিল করবে। বুধবারও ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাদের অবস্থানে অনড়। আনোয়ারকে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করিয়ে তারা কোনও নিয়ম ভাঙেননি বলে দাবি করা হয়েছে। কারন ফ্রি প্লেয়ার হিসেবে ইস্টবেঙ্গল আনোয়ারকে সই করিয়েছিল। মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের সঙ্গে চার বছরের লোনের চুক্তি খারিজ করে আনোয়ার ফিরে গিয়েছিলেন পুরানো ক্লাব দিল্লি এফসিতে। সেই সময় আনোয়ার লোনে নয় দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তি চেয়েছিলেন সুপারজায়ান্ট ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে। তার সেই অনুরোধে সুপারজায়ান্ট সেভাবে কর্নপাত করেছিল না। তখনই চুক্তি ভেঙে পছন্দ মত ক্লাবে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির দ্বারস্থ হয়েছিল সে। এবং পছন্দমত ক্লাবে খেলার অনুমতি পেয়েছিল। তারপরেই ইস্টবেঙ্গলে সই করে আনোয়ার।
এদিকে ভারতীয় দলের হয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ খেলে শহরে ফিরলেন নন্দকুমার,নওরেম মহেশ সিং আনোয়াররা। শহরে ফিরেই তারা কার্লেস কুয়াদ্রাতের অধীনে ইস্টবেঙ্গলের প্র্যাকটিসে যোগ দিলেন। চব্বিশ ঘণ্টা আগে চারমাস নির্বাসনের কথা জেনেছেন। তবু তাঁকে দেখে মনে হয়নি নির্বাসনের ধাক্কায় তিনি হতাশ। হাসিমুখেই তাঁকে অনুশীলনে যোগ দিতে দেখা গেল। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষনে জোর বাড়াতে আনোয়ারের যোগদান যে জরুরি তা লাল হলুদ কোচ আগেই বলেছিলেন। কিন্তু নির্বাসনের খাড়া নেমে আসায় অপেক্ষা আরও চারমাসের। কিন্তু ময়দান বলছে আপিল করে স্থগিতাদেশ জারি হলে আনোয়ার দ্রুতই মাঠে নামতে পারবেন। কারন স্থগিতাদেশ জারি হলে খেলার ওপর বাধা পড়বে না।