কলকাতা লিগ (Kolkata League 2023) খেলতে নামার মাত্র ৫ দিন আগেও দল গঠন করতে পারেননি ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। চূড়ান্ত ডামাডোল চলছে লাল-হলুদে। ১৩ জুলাই নিজেদের ঘরের মাঠে কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচে রেনবোর বিরুদ্ধে ম্যাচে নামার আগে, বিরাট সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল। একাধিক পজিশনে ফুটবলার এখনও খুঁজছে লাল-হলুদ।
সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ফুটবলারদের চোট ও অসুস্থতা। স্ট্রাইকার জেসিন টিকে চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। মাঠে ফিরতে তাঁর আরও অনেকটা সময় লাগবে। গোড়ালিতে মারাত্মক চোট পেয়েছেন আরও এক ফুটবলার মহীতোষ রায়। হাঁটুর ব্যথায় কাবু উইঙ্গার রোশাল। তিনিও অনুশীলনে নামতে পারছেন না। গোল করার লোক নেই ইস্টবেঙ্গলে! ঘরের মাঠে রেনবোর বিরুদ্ধে মুখ পুড়তে পারে ইস্টবেঙ্গলের। ভিনরাজ্য থেকে প্রতিদিনই প্রচুর ফুটবলার আসছেন। ট্রায়াল হলেও লাভ হচ্ছে না।সমস্যা এখানেই শেষ নয়। ইস্টবেঙ্গলের প্র্যাকটিস কিটও নেই। অনুশীলনের জন্য এখনও নির্দিষ্ট কোনও জার্সিও তৈরি করা হয়নি। ব্যক্তিগত জার্সি পরে অনুশীলন করতে হচ্ছে ফুটবলারদের। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত অব্যবস্থা। বড় ক্লাবের ক্ষেত্রে যা ভাবাই যায় না। লগ্নিকারী সংস্থা এখনও পর্যন্ত কিট স্পনসরই জোগাড়ে ব্যর্থ।
খাবারের মান নিয়েও তীব্র অসন্তোষ দানা বাঁধছে ফুটবলারদের মধ্যে। একেবারে খারাপ মানের খাবার দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। যদিও ইমামি কর্তারা এ কথা মানতে নারাজ। তাদের দাবি কোনও সমস্যা নেই। ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের কলা, আপেল, সিদ্ধ ডিম, চিকেন স্যান্ডউইচ আর ফ্রুট জুস দেওয়া হচ্ছে। আর সেই খাবারের মানও খুব খারাপ।
মুখে ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টের কথা বলছেন বটে ইমামি কর্তারা, তবে কাজের কাজ হচ্ছে না। বাজেট বাড়লেও তা আইএসএল-এর জন্যই শুধু ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে কলকাতা লিগে খেলা ফুটবলারদের ভুগতে হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ। পাড়ার ক্লাবের মতো মাসিক ১০-১৫ হাজার টাকার চুক্তি করা হচ্ছে ফুটবলারদের সঙ্গে। এমনটাই সূত্রের খবর। ফলে দায়সারা ভাবেই কলকাতা লিগের দল তৈরি করছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। ক্লাব কর্তারা যদিও একেবারেই নিরুপায়।