ফের হারের মুখ থেকে জয় পেল ইংল্যান্ড (England)। সুইজারল্যান্ডের (Switzerland) বিরুদ্ধে পিছিয়ে গিয়েও টাইব্রেকারে ম্যাচ টেনে নিয়ে গিয়ে জয় ছিনিয়ে আনল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। এটা ছিল ইংল্যান্ডের হয়ে কোচ হিসেবে তাঁর শততম ম্যাচ। প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে সুইৎজারল্যান্ড। ৫১ মিনিটের মাথায় কনসার শট বাঁচান ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জর্ডন পিকফোর্ড। ব্রিল এমবোলো, গ্রানিট জাকা, রুবেন ভারগাসেরা সুযোগ তৈরি করছিলেন। অন্য দিকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না হ্যারি কেনকে। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক যে ১০০ শতাংশ ফিট নন, তা তাঁর দৌড় দেখেই বোঝা গেল। তাঁর পা থেকে সহজেই প্রতিপক্ষ ফুটবলারেরা বল কেড়ে নিলেন। বার বার পড়ে গিয়ে ফাউল আদায়ের চেষ্টা করলেন কেন। আগের ম্যাচের নায়ক বেলিংহ্যামকেও এই ম্যাচে নিষ্প্রভ দেখাচ্ছিল। ইংল্যান্ডের হয়ে একমাত্র চোখে পড়ছিল বুকায়ো সাকাকে (Bukayo Saka)।
৭৫ মিনিটে প্রথম গোল করে সুইসরা। দলকে এগিয়ে দেন ব্রিল এমবোলো। ডান প্রান্ত ধরে এনডয়ে বক্সে বল পাঠান। সেই বল বার করতে পারেননি জন স্টোনস। তাঁর পায়ে লেগে বল যায় এমবোলোর কাছে। কাইল ওয়াকারকে ঘাড়ের কাছে নিয়ে গোল করেন তিনি। পিকফোর্ডের কিছু করার ছিল না। গোল খাওয়ার পরেই তা শোধ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। সাউথগেট নামিয়ে দেন পালমার ও লুক শকে। এরপরেই গোল পায় তারা। ৮০ মিনিটে সমতা ফেরান বুকায়ো সাকা। বক্সের বাইরে বল ধরে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন তিনি। তবে গোলের ক্ষেত্রে দোষ রয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের রক্ষণ ও গোলরক্ষক ইয়ান সোমারের। রক্ষণের কেউ সাকাকে আটকানোর চেষ্টা করেননি। এটাই ছিল গোল লক্ষ্য করে ইংল্যান্ডের প্রথম শট। এরপর আর গোল হয়নি। সুযোগ আসলেও স্ট্রাইকারদের দক্ষতার অভাবে গোল পায়নি কোনও দল।
এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু আর গোল না হওয়ায় টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। ইংল্যান্ডের হয়ে টাইব্রেকারে গোল করেন কোল পামার, জুড বেলিংহ্যাম, সাকা, ইভান টনি ও ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। সুইৎজারল্যান্ডের হয়ে গোল করেন ফ্যাবিয়ান স্কার, জার্দান শাকিরি ও জেকি আমদুনি। কিন্তু প্রথম শটে গোল করতে ব্যর্থ হন ম্যানুয়েল আকানজি। তাঁর দুর্বল শট সেভ করেন দেন ইংল্যান্ডের গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড। ফলে টাইব্রেকারে ৫-৩ জয় পেল ইংল্যান্ড।
গতবারের ইউরো ফাইনালে সাকা টাইব্রেকার মিস করায় হেরে যায় ইংল্যান্ড। আর এবার তাঁর করা গোলেই সেমি ফাইনালে পৌঁছে গেল থ্রি লায়ান্সরা।