দারুণ লড়েও, শেষরক্ষা হল না জার্মানির (Germany)। এক্সট্রা টাইমের শেষ মিনিটে ওলমোর (Dani Olmo) পাস থেকে মিকেল মোরিনহোর (Mikel Merino) গোল পার্থক্য গড়ে দিল। সেমি ফাইনালে উঠে গেল স্পেন (Spain)। ৯০ মিনিটের একেবারে শেষদিকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরায় জার্মানি। চিরকালই গোল খাওয়ার পর তারা ভয়ঙ্কর। এদিনও তার অন্যথা হল না ফ্লোরিয়ান ওয়ার্টজের (Florian Wirtz) গোল ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে সমতা এনে দেয়। তবে ম্যাচে শেষ হাসি হাসে স্প্যানিশ আর্মাডা।
শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল স্পেন
ম্যাচের ৫১ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় স্পেন। ইয়েমেলের পাস থেকে গোল করেন ড্যানি ওলমো। ডানদিক থেকে উঠে এসে দারুণ ক্রস বক্সে পাঠান ইয়েমেল। ডিফেন্ডারের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে বল দখলে নিয়েই দ্বিতীয় পোস্টের দিকে আলতো টোকায় বল রাখেন ওলমো। অভিজ্ঞ গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ারের কিছুই করার ছিল না। পৌঁছতে পারেননি তিনি। এগিয়ে যায় স্পেন। তবে গোল খেয়েই তা ফিরিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে জার্মানি। আক্রমণ হলেও গোলটাই আসছিল না।
শেষ মুহূর্তে গোল জার্মানির
ওয়ার্টজের গোল এল একেবারে শেষ মুহূর্তে। তবে গোলের জন্য কিমিচের অবদান ভোলার নয়। শরীরকে পেছনের দিকে বেকিয়ে তাঁর ব্যাক হেডটাই বলটাকে খেলার মধ্যে রেখেছিল জার্মানিকে। সেখান থেকে দারুণ ভলিতে গোল করেন ওয়ার্টজ। এই গোলের জেরেই ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। বারেবারে ফাউল আর হলুদ কার্ডের বন্যায় ভেসে যাওয়ার মাঝেও দুই দলের তরুণ ফুটবলারদের অনেকেই এই বড় ম্যাচেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন।
পেনাল্টির আবেদন নাকচ
এক্সট্রা টাইমে জার্মানির জামাল মুসিয়ালার শট স্পেনের ডিফেন্ডার কুকুরেয়ার হাতে লাগে। তখন তিনি পেনাল্টি বক্সের মধ্যেই ছিলেন। তবে রেফারি পেনাল্টি দেননি। ভার-এ দেখা যায় বল হাতে লেগেছে। তবে কেন পেনাল্টি দিলেন না রেফারি? তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলছেন জার্মানির সমর্থকরা। তবে একটা অংশের দাবি, যখন বলটা হাতে লেগেছে তখন কুকুরেয়া তাঁর হাতটা পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তা মানতে চাইছেন না জার্মান সমর্থকরা।
শেষ মুহূর্তে দারুণ গোল করে দলে জেতান মোরিনহো। ওলমোর বাঁ পায়ে রাখা সেন্টার থেকে দারুণ ভাবে মাথা ছোঁয়ান মোরিনহো। বল ঢুকে যায় গোলে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি জার্মানি। সময়ও ছিল না। লাল কার্ড দেখে শেষ মুহূর্তে ড্যানি কার্ভাহাল মাঠ ছাড়লেও জিততে সমস্যা হয়নি স্পেনের।