গ্রেগ চ্যাপেল নাকি ভারতের কোচ থাকাকালীন দল গড়তে জ্যোতিষের সাহায্য নিতেন। এমনিতেই ভারতীয় ক্রিকেটে গ্রেগ চ্যাপেল জমানা নিয়ে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। তৎকালীন ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেও নানা বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার। সৌরভকে দল থেকে বাদ দেওয়া নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। তবে এই সমস্ত বিতর্কের পাশাপাশি যোগ হল আরো একটি ঘটনা। এক ইউটিউব চ্যানেলে জ্যোতিষী সন্দীপ কোছর জানিয়েছেন, গ্রেগ চ্যাপেল তাঁর থেকে পরামর্শ নিয়ে দল বানাতেন।
কী জানালেন সন্দীপ
সেই ভিডিওতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাবার্তা হলেও, ভারতীয় ক্রিকেটের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। সন্দীপ বলেন, 'সে সময় হোয়াটস অ্যাপ ছিল না। প্রতিটা ক্রিকেটারেরই হরোস্কোপ আমার কাছে ছিল। অনেক সময়ই হত, কাউকে ব্যাটিং করতে পাঠালে নিজের মতোই বলতে থাকতাম, ওর সময় খারাপ চলছে, ওকে এই সময় ব্যাটিংয়ে পাঠানো ঠিক হচ্ছে না। যাবে আবারও আউট হয়ে ফিরে আসবে। অথচ যার সময় ভালো চলছে, সে টিমেও রয়েছে, কিন্তু একাদশের বাইরে! সে সময়ই মনে হয়েছিল, এই বিষয়টা গ্রেগ চ্যাপেলকে কেউ কেন বোঝাচ্ছে না? আমার মনে হয়েছিল, ওদের উচিত কোনও জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া।’
কীভাবে পরিচয় হল গ্রেগের সঙ্গে?
সেলিব্রিটি জ্যোতিষী সন্দীপ কোছর জানিয়েছেন, এক সাংবাদিকের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তিনিই নাকি গ্রেগের সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন। সন্দীপ বলেন, ‘কিছু দিন পরই এক সাংবাদিকের ফোন এল। সে আমারও পরিচিত। জানাল, গ্রেগ আমার ব্যাপারে শুনেছে এবং কথা বলতে চায়। সে সময় আমি দিল্লিতে ছিলাম। কোন সিরিজ ছিল মনে নেই। গ্রেগ চ্যাপেল ফোন করে দেখা করতে চাইল। হোটেলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। তাই আমাকে রুমেই ডেকে নিয়েছিলেন। ওর স্ত্রী লিন্ডা সম্ভবত নাম, সেও ছিলেন। এরপর থেকে গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে বন্ধুত্বটা গাঢ় হয়। কারণ, আমি যেগুলো বলতাম, ওর কাজে লাগতো। তারপর থেকেই নিয়মিত ভাবে মেসেজ করতে শুরু করে। জানতে চাইতো, কোন প্লেয়ারের সময় ভালো চলছে, কার টিমে থাকা উচিত এ সব।’
ভারতীয় ক্রিকেট নিঃসন্দেহে গ্রেগ পর্ব ভুলে যেতেই চাইবে। সেই সময় ভারতীয় দলে অদ্ভুত কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা চলত। সচিন তেন্ডুলকরকে সেই সময় ওপেনিং থেকে চার নম্বরে পাঠিয়েছিলেন গ্রেগ। দারুণ ছন্দে থাকা ইরফান পাঠানকে অলরাউন্ডার করতে গিয়ে কেরিয়ারটাই প্রায় শেষ করে দিয়েছিলেন। তবে এই সমস্ত কিছু কী জ্যোতিষীর পরামর্শ মেনে? তা যদিও জানা যায়নি। তবে এর মধ্যে যে কোনও ক্রিকেটীয় বুদ্ধি বা বিজ্ঞান ছিল না তা অনুমান করাই যায়।