শনিবার মরশুমের প্রথম ডার্বিতে নামছে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপের এই ডার্বির টিকিট ঘিরেই এখন উত্তপ্ত কলকাতা ময়দান। বড় ম্যাচের চারদিন আগেই ছড়িয়ে গেল ডার্বির উত্তাপ। যার জেরে রীতিমত বচসা বেধে গেল খোদ ক্রীড়ামন্ত্রীর ঘরেই। মরশুমের প্রথম ডার্বির টিকিট বণ্টন নিয়ে একেবারেই খুশি নন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান কর্তারা।
টিকিট বন্টন নিয়ে ক্ষোভ দেখিয়ে মাঝপথেই ক্রীড়ামন্ত্রীর ডাকা বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান লাল হলুদ কর্তারা। তবে মোহনবাগান কর্তারা মিটিংয়ের শেষপর্যন্ত ছিলেন। তাদেরও সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। তবুও সাহায্যের আশ্বাসই দিয়েছেন সবুজ-মেরুন কর্তারা। মরশুমের প্রথম ডার্বি ফলে সমর্থকদের মধ্যেও টিকিটের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। আর সেই সমস্যা মেটাতে ডার্বির টিকিট সঠিকভাবে বন্টন নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে অরূপ বিশ্বাসের দফতরে সেনাবাহিনী এবং দুই প্রধানের কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী। কিন্তু ডুরান্ড কমিটির টিকিট বণ্টনের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা। বৈঠকের মধ্যেই প্রচন্ড চটে যান লাল হলুদের কর্তারা। শেষপর্যন্ত মিটিংয়ের মাঝপথেই ওয়াকআউট করেন তাঁরা।
কী নিয়ে সমস্যা?
জানা গিয়েছে, সমস্যা শুরু হয় ভিআইপি টিকিটের পাশাপাশি কমপ্লিমেন্টারি টিকিটের সংখ্যা নিয়ে। ডুরান্ড কমিটি ভিআইপি টিকিট এবং কমপ্লিমেন্টারি টিকিটের যেই সংখ্যার কথা বলেছে তা নিতে অস্বীকার করে ইস্টবেঙ্গল। সূত্রের খবর, দুই ক্লাবকে মাত্র ৪০০০ কমপ্লিমেন্টারি টিকিট দেওয়ার কথা বলে ডুরান্ড কমিটি। সেটা মানতে চায়নি ইস্ট-মোহনের কর্তারা। অন্তত ৬০০০ কমপ্লিমেন্টারি টিকিটের দাবি তোলা হয়। কারণ দুই প্রধানের সদস্যের সংখ্যা অনেক বেশি। এছাড়া কোনও ফ্রি টিকিটের ব্যবস্থা করেনি ডুরান্ড কমিটি। এতে আপত্তি তোলে ইস্টবেঙ্গল। কর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সদস্যরা টিকিট না পেলে তাঁরাও মাঠে যাবেন না।
একই সঙ্গে কিছু টিকিট দাম দিয়ে হলেও কিনতে চেয়েছিল দুই ক্লাব। সেটাও দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে বৃহস্পতিবার মিটিং-এ বসবেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তাঁরা এই ডার্বি দেখতে যাবেন কিনা। এদিকে জানা যাচ্ছে এবার অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা হবে না। অফলাইনেই বিক্রি হবে ডার্বির টিকিট।