রবিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুটি সেমি-ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। আর শ্রীলঙ্কা নেমেছিল ভারতের বিরুদ্ধে।
পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় এবং সবমিলিয়ে তৃতীয়বার লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ভারতীয় যুবারা, তারাও বাংলাদেশের মতোই ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। কাকতালীয়ভাবে দুই দলই চলতি আসরের গ্রুপপর্বে রানারআপ হয়েছিল। অর্থাৎ, তিনটি করে ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা বিদায় নিয়েছে যুব এশিয়া কাপ থেকে।
এর আগে বাংলাদেশ ২০১৯ আসরে ফাইনালে প্রথমবার খেলতে নেমে ৫ রানে হেরেছিল ভারতের কাছে। সর্বশেষ (২০২৩) আসরেও দুই দলের দেখা হয় সেমিফাইনালে। প্রতিশোধ তুলে বাংলাদেশ সেই ম্যাচে ভারতকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দেয়। পরে ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাশাহিকে ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবার যুব এশিয়া কাপের শিরোপা উৎসবে মাতে ইয়াং টাইগাররা।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে ধাক্কা খেয়েছিল ভারতীয় দল। তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে লড়াইয়ে ফেরে ভারতের যুব দল। বৈভব সূর্যবংশীদের টানা তিন ম্যাচ জয়ে খুলে গেল ফাইনালের দরজা। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। চেতন শর্মার দুই উইকেটের সাহায্যে ৮ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। একমাত্র লড়াই চালায় লাকভিন আবেসিংহে। ১১০ রানে ৬৯ রান করে সে। শারুজান শানমুগানাথান ৭৮ বলে ৪২ করে। বাংলার পেসার যুধাজিৎ গুহ ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেয়। চেতন শর্মা ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তোলে। আয়ুষ মাত্রের শিকার ২ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৪৬.২ ওভারে শ্রীলঙ্কার ইনিংস থেমে যায় মাত্র ১৭৩ রানে।
জবাবে বিন্দুমাত্র চাপে পড়তে হয়নি ভারতকে। আয়ুষ মাত্রে ও বৈভব সূর্যবংশীর ওপেনিং জুটিতেই প্রয়োজনীয় রানের অর্ধেক উঠে যায়। ২৮ বলে ৩৪ রান করে আউট হয় আয়ুষ। আন্দ্রে সিদ্ধান্ত ২৭ বলে করে ২২ রান। কিন্তু একদিক থেকে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় বৈভব। ১৩ বছর বয়সি ক্রিকেটারকে আইপিএলে নিলামে ১.১০ কোটি টাকায় কিনে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। সেটার প্রমাণ দিল বৈভব। ৫টি ছক্কার সঙ্গে ৬টি চারও মারে সে। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৬৭ রানে থামে তার ইনিংস। ২১.৪ ওভারে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত। তখনও হাতে ছিল ৭ উইকেট।