সেঞ্চুরিয়ান পেসারদের স্বর্গ। আর সেখানেই ভারতের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ খাড়া করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার (India VS South Africa) কাগিসো রাবাডা। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও বিরাট কোহলির (Virat Kohli) মতো তারকাকে রান করতে তো দিলেনই না উল্টে ভারতের গর্বের ব্যাটিং লাইন আপ একাই গুড়িয়ে দিলেন। রাবাডা ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও বোলারই সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। তবে অবাক করেছে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) দুই তারকার ব্যাটিং। কেউই হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি।
একদিনের বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খেলেননি বিরাট-রোহিত। এই বছরে বিরাট একটিও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি। বিরাট-রোহিত তাই বিশ্বকাপের পর প্রথমবার মাঠে নামলেন। তাঁদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা সেঞ্চুরিয়নে আটকে গেলেন কাগিসো রাবাডার সামনে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বাউন্সি, ফাস্ট উইকেটে যেখানে ‘চিন মিউজিক’ শোনা যাচ্ছে সেখানে বিরাট-রোহিতের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যাট জ্বলে উঠল না।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনও অবধি একটিও টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি ভারত। গতবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বিরাট কোহলি ১৫৩ রান করেছিলেন এই সেঞ্চুরিয়নে। আর এ বার সেঞ্চুরিয়ানে ৩৮ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন কোহলি। যদিও এ ক্ষেত্রে দারুণ বোলিং করেছিলেন কাগিসো রাবাডা। বল দেখে বোঝাই যায়নি বলটা বাইরের দিকে চলে যাবে। সামনের দিকে পড়া বল কানায় লেগে চলে যায়।
রোহিত গতবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ছিলেন না। এ বার মাত্র ৫ রানে করেই পুল শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন। কাগিসো রাবাডার বলে পুল শট খেলা থেকে নিজেকে আটকাতে পারেননি রোহিত শর্মা। ব্যস তাতেই ডেকে আনেন বিপদ। ব্যর্থ হয়েছেন আরও এক টপ অর্ডার ব্যাটার শুভমন গিল। লেগ সাইডের বাইরের বল গ্লাভসে লাগায় মাত্র ২ রান করে আউট হন তিনি। বার্গারের বলে ১৭ রান করে আউট হন যশস্বী জয়সওয়ালও।