প্রথম দিনেই ২৩টি উইকেট! কেপটাউনের নিউল্যান্ডসের উইকেট নিয়ে ক্ষুব্ধ খোদ দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ, ক্যাপ্টেন। তাদের দেশের পিচ নিয়েই কিউরেটরদের কাঠগড়ায় তুলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপ্টেন ডিন এলগার ও ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স। সাধারণ ভাবে কেপটাউনের পিচ এতটা দ্রুত গতির হয় না।
প্রথম দিনের খেলার শেষ এলগার বলেন, 'নিউল্যান্ডসের পিচ সাধারণ ভাবে মন্থর হয়। ব্যাটারদের খেলতে খুব একটা সমস্যা হয় না। খেলা যত এগিয়ে যায়, ততই পিচে গতি আসে। কিন্তু এখানে ঠিক উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে।' অন্যদিকে কেপটাউনের উইকেট প্রিন্স ভাল ভাবেই চেনেন। এটা তাঁর ঘরের মাঠ। পিচের এমন চরিত্র বদল নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনিও। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ বলেন, ' প্রথম দিনে এমন দ্রুত গতির পিচ এর আগে দেখিনি। পিচে বাউন্স সমান হলে দ্রুত গতির পিচে ব্যাটারদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এখানে সেটা দেখা যাচ্ছে না। কোনও বল লাফাচ্ছে। আবার কোনও বল নিচু হচ্ছে। তাই ব্যাটারদের সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি পিচে বল পড়ে কখনও ভিতরে ঢুকছে। কখনও বাইরের দিকে যাচ্ছে। এই পিচে খেলা কঠিন।'
কেপটাউনে প্রচুর ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এলগারের। টেস্ট কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপ্টেন বলেন, 'খালি চোখে পিচ দেখে খারাপ বলে মনে হচ্ছে না। আগে ব্যাট করতে এত সমস্যা হয়নি। আমাদের দেশের ব্যাটাররা এই মাঠে খেলতে পছন্দ করেন। তবে এবার সেটা হচ্ছে না।' বুধবার প্রথম ইনিংসে ৫৫ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
ভারতীয় দলের ব্যাটাররাও এই উইকেটে ব্যাট করতে পারেননি। ১৫৩ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৩ ওভার ২ বল ব্যাট করতে পেরেছে। আর ভারতীয় দল ৩৪ ওভার ব্যাট করতে পেরেছে। উল্টো দিকে দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস। ভারতীয় দলকে জিততে হলে ৭৯ রান করতে হবে। দুই ইনিংসে ভারতের দুই ফাস্ট বোলার ৫ বা তার বেশি উইকেট তুলে নিলেন।
১৮৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের ম্যাচে প্রথম দিনে পড়েছিল ২১ টি উইকেট। ১২৮ বছরের সেই রেকর্ড ভেঙে গেল বৃহস্পতিবার।