Ravindra Jadeja India Vs South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে লজ্জার মুখে পড়তে হয়েছে ভারতীয় দলকে। শুধু হার নয়, এই হারের ফলে টপ রাঙ্কিং টিম থেকে এক ধাক্কায় নেমে গিয়েছেন ভারতীয় দল। ম্যাচে পিঠে ব্যথার কারণে মাঠে নামতে পারেননি ভারতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। তাঁর অনুপস্থিতি বেশ ভুগিয়েছে ভারতকে। তাঁর বদলে দলে সুযোগ পাওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন তেমন দাগ কাটতে পারেননি।
জাদেজাকে নিয়ে সামনে এসেছে এই আপডেট
পিঠে ব্যথার কারণে রবীন্দ্র জাদেজা সেঞ্চুরিয়ান টেস্টে খেলতে পারেননি। জাদেজার জায়গায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে প্লেয়িং ইলেভেনে জায়গা দেওয়া হয়। পাওয়া খবর অনুযায়ী জাদেজার পিঠের ব্যথা অনেকটাই কমেছে। তৃতীয় দিনে তিনি ওয়ার্ম আপও করেছিলেন দলের সঙ্গে। তাঁকে স্বচ্ছন্দ দেখিয়েছে। তিনি ফিটনেস প্র্যাকটিসও করেছেন। শুধু তাই নয়, তৃতীয় দিন লাঞ্চ ব্রেকের সময় রবীন্দ্র জাদেজা বোলিং অনুশীলনও করেন।
তৃতীয় দিনে পেসার মুকেশ কুমারের সঙ্গে তিনি প্রায় ২০ মিনিট প্র্যাকটিস পিচে বোলিং করেছেন। টিমের স্ট্রেংন্থ এবং কন্ডিশনিং কোচ রজনীকান্ত তাঁর সঙ্গে ছিলেন বলে দেখা গিয়েছে। তিনি বোলিং করার সময় স্বচ্ছন্দ অনুভব করছিলেন। ম্যাচ খেলতে গিয়ে জাদেজা যদি বোলিংয়ে তেমন কার্যকর নাও হন, তাহলেও তাঁর ছয় বা সাত নম্বরে নেমে ব্যাটিংয়ে একটা আলাদা গভীরতা এনে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তিনি গত কয়েক বছরে ভারতীয় টেস্ট দলকে যা দিয়ে আসছেন। যা ভারতীয় দলের সাম্প্রতিক সাফল্যের অন্যতম কারিগর।
যদি ফিট থাকেন তাহলে তিনি হয়তো রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জায়গায় প্লেইং ইলেভেন এ ফিরে আসবেন। অশ্বিন সেঞ্চুরিয়ান টেস্টে ম্যাচে বোলিংয়েও কোনও দাগ কাটতে পারেননি। ব্যাটেও তিনি একেবারেই ফ্লপ ছিলেন। অশ্বিন প্রথম ইনিংসে ৮ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ০ রানে আউট হয়ে যান।
দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ভারতীয় দল রোহিত শর্মা (ক্যাপ্টেন), শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেট কিপার), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, মহম্মদ সিরাজ, মুকেশ কুমার, জসপ্রীত বুমরা, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, কেএস ভরত, অভিমুন্য ঈশ্বরণ, আবেশ খান।
দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়ানে পেস ও বাউন্সে ভারতীয় ব্যাটাররা যে সমস্যায় পড়বেন, সেটা একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল। এর মধ্যে যদিও প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন কেএল রাহুল। ১০১ রান করে আউট হন তিনি। বিরাট কোহলি বা শ্রেয়স আইয়াররা ভাল ব্যাটিং করলেও বড় রান করতে ব্যর্থ। ফলে প্রথম ইনিংসে ২৪৫ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। জবাবে ডিন এলগারের ১৮৫ রানের সৌজন্যে ৪০৮ রানের পাহাড় গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৩১ রানেই। বিরাট কোহলি ৭৬ রান করলেও ইনিংসে হার বাঁচাতে পারেননি। হারের ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দু-ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ০-১ পিছিয়ে পড়ল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারত কখনও টেস্ট সিরিজ জেতেনি। এ বারও হল না।
বড় ব্যবধানে হারের ফলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৩-২৫ সাইকেলের পয়েন্ট টেবলে ১ থেকে ৫ নম্বরে নেমে গেল ভারত। অন্যদিকে জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই পর্ব শুরু করায় এক ধাক্কায় শীর্ষে উঠে এল দক্ষিণ আফ্রিকা। এমনকি বাংলাদেশও রয়েছে ভারতের উপরে। পাকিস্তান রয়েছে দুই নম্বরে। তিন নম্বরে রয়েছে প্রথম্বারের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট হিসেব হয় হার-জিতের শতাংশ দিয়ে। সেদিক থেকে, ভারতকে হারিয়ে ১০০ শতাংশ পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তান পেয়েছে ৬১.১ শতাংশ। নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ ৫০ শতাংশ করে পেলেও ভারতের সংগ্রহ ৪৪.৪৪। যদিও ভারতের নীচে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের পয়েন্ট ৪১.৬৭ শতাংশ।