ভারতীয় ক্রিকেট দল সোমবার একটা দুরন্ত জয় তুলে নিয়েছে লর্ডসের মাঠে। বিরাট কোহলি অধিনায়ক হিসাবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হেরেছিল। ইংল্যান্ডের মাটিতেই ঠিক কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারের মুখ দেখেছে ভারত। কিন্তু অধিনায়ক হিসাবে ফের একবার ইংল্যান্ডের মাটিতেই প্রত্যাবর্তন ঘটালেন অধিনায়ক বিরাটের দল। কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল ঐতিহাসিক লর্ডসে ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন। এই নিয়ে তৃতীয় টেস্ট লর্ডসে জিতেছে ভারতীয় দল।
লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সাত বছর পর লাল বলের ক্রিকেটে ছিটকে দিয়েছে ভারত। শেষ ২০১৪ সালে ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল ভারত। আর এবার ফের একবার ৭ বছর বাদে বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে জয় পেল ভারতীয় দল। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ১৫১ রানে জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে ভারত।
ক্যাপ্টেন হিসাবে লর্ডসে অন্যতম প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন বিরাট। তবে এই তালিকায় শুধু বিরাট কোহলি নয়, লর্ডসের মাটিতে অধিনায়ক হিসাবে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন ভারতের একাধিক ক্রিকেটার। কপিল দেব থেকে শুরু করে বিসিসিআই সভাপতি প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মহেন্দ্র সিং ধোনিও অধিনায়ক হিসাবে লর্ডসের মাঠে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন।
কপিল দেব
অধিনায়ক হিসাবে কপিল দেব এমন একজন ক্রিকেটার, যিনি ভারতীয় ক্রিকেটকে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন ও বিশ্ব দরবারে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় দলও সবাইকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখে। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল অধিনায়ক হিসাবে লর্ডসের মাঠেই জিতেছিলেন কপিল দেব। বিধ্বংসি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ তুলে নিয়েছিলেন কপিল।
শুধু ১৯৮৩ বিশ্বকাপই নয় লর্ডসের মাঠে ১৯৮৬ সালে কপিল দেব ভারতের হয়ে টেস্টও জিতেছিলেন লর্ডসের মাঠে। তিনিই ভারতীয় ক্রিকেটকে পথ দেখিয়েছিলেন প্রথম।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
ক্রিকেটার হিসাবে লর্ডসের মাঠে অভিষেক ঘটেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের, সেই কথা সবার জানা। শুধু তাই নয় অভিষেকেই টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন মহারাজ। তবে শুধু তাই নয়, ঐতিহাসিক লর্ডসে ক্যাপ্টেন হিসাবে অন্যতম নজির আছে মহারাজের। দাদাগিরি তিনিই প্রথম দেখিয়েছিলেন সেখানে। ইংল্যান্ড অধিনায়ক নাসির হোসেন সঙ্গে ফ্লিনটফের বিরুদ্ধে জামা খুলে ঘুরিয়ে ভারতের হয়ে বদলা নিয়েছিলেন সৌরভ। লর্ডসেই ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয় অধিনায়ক হিসাবে জয় পেয়েছিলেন সৌরভ। সেখান থেকেই তাঁর অধিনায়কত্বে আরও একটি পালন যোগ হয়েছিল। মহারাজই ভারতীয় ক্রিকেটকে পাল্টে দেয়। তিনি অধিনায়ক হিসাবে শিখিয়েছিলেন বিদেশের মাটিতে গিয়ে সেখানের দলকেও হারানো সম্ভব। ২০০২ সালে অধিনায়ক হিসাবে অন্যতম প্রত্যাবর্তন ছিল সৌরভের।
মহেন্দ্র সিং ধোনি
অধিনায়ক হিসাবে ধোনির কোনও তুলনা হয় না। কারণ ক্যাপ্টেন কুল ভারতকে প্রতিটি আইসিসি ট্রফিই আপাতত এনে দিয়েছেন। অধিনায়ক হিসাবে আইসিসির টি২০ বিশ্বকাপ, আইসিসির একদিনের বিশ্বকাপ, সঙ্গে আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছেন ধোনি। তবে বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের রেকর্ড খুব একটা ভাল ছিল না মাহির। সেখানেও ধোনির প্রত্যাবর্তন ঘটায় লর্ডসই। ২০১৪ সালে লর্ডসের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় তুলে নেয় ভারতীয় দল। অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি অন্যতম সেরা অধিনায়ক হলেও বিদেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের মাটিতে এটা অধিনায়ক ধোনির জন্য ছিল অন্যতম একটা বাড়তি পাওনা।