৯৮ রানে হার লখনউ-এর। ঘরের মাঠে কেএল রাহুলদের বিরাট হারে শীর্ষে উঠে এল কলকাতা। লখনউ-এর একনা স্টেডিয়ামেও হিট সুনীল নারাইনের ব্যাটিং। ফিল সল্টের সঙ্গে তিনি যতক্ষণ ব্যাট করেছেন, মনে হয়েছে ২৫০ পেরতে সমস্যা হবে না কেকেআর-এর। তবে তা অল্পের জন্য হয়নি আন্দ্রে রাসেল ও রিঙ্কু সিং বড় রান করতে না পারায়। কেকেআর ইনিংস শেষ করে ২৩৫ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩৭ রানে সব উইকেট হারায় লখনউ।
টস জিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ব্যাটিংয় করতে পাঠান লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে বড় স্কোর খুব একটা না। তবে সেই মিথ ভেঙে দিল কেকেআর। ফিল সল্ট-সুনীল নারাইনের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ২৬ বলে ৬১ রান। সল্ট আউট হতেই রঘুবংশীকে সঙ্গে নিয়ে ৪৬ বলে ৭৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। সল্ট মাত্র ১৪ বলে ৩২ রানে ফেরেন। সুনীল নারিন করেন ৩৯ বলে ৮১ রান। ৬টা চার ও সাতটা ছক্কায় সাজানো তার ইনিংস। রঘুবংশী ২৬ বলে ৩২ রান করে আউট হন।
ওপেনারদের রানের গতি বজায় রাখতে চেয়েছিল কেকেআর। ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন দেওয়া হয় আন্দ্রে রাসেলকে। চারে নামেন তিনি। ৮ বলে ১২ রানেই ইতি রাসেলের ইনিংস। অঙ্গকৃশ রঘুবংশী ৩২ রান করলেও স্ট্রাইকরেট মাত্র ১২৩। রিঙ্কু সিং ১১ বলে ১৬ রানেই ফেরেন। সুনীল নারিন ফেরেন ইনিংসের দ্বাদশতম ওভারের শেষ বলে। সে সময় কেকেআরের স্কোর ১৪০! সেখান থেকে অন্তত ২৫০ প্রত্যাশিত ছিল।
কিন্তু রমনদীপ সিং কিছুক্ষণের ঝড় তোলেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩৫ রান করে কেকেআর। রমনদীপ ৬ বলে ২৫ রান করেন। কেকেআরের করা ২৩৫-৬ লখনউয়ের মাঠে সর্বাধিক স্কোর।
লখনউয়ের হয়ে মার্কাস স্টোয়নিশ সবচেয়ে বেশি (৩৬)রান করেন। কেএল রাহুল করেন ২৫ রান। বাকি কেউই রান করতে পারেননি। তিনটি করে উইকেট নেন হর্ষিত রানা ও বরুণ চক্রবর্তী। দুই উইকেট আন্দ্রে রাসেলের। সুনীল নারাইন ও মিশেল স্টার্ক ১ টি করে উইকেট নেন।