শুক্রবারের ইডেনে বিশ্বরেকর্ড। সেই ম্যাচে ২৬১ রান করেও হেরে যেতে হয়েছে কলকাতাকে (Kolkata Knight Riders)। এই ম্যাচের মাঝেই দেখা যায়, কেকেআর মেন্টর গৌতম গম্ভীরকে (Gautam Gambhir) রেগে যেতে। কলকাতার ব্যাটিং-এর সময় ১৪তম ওভারে এই ঘটনা দেখা যায়। গম্ভীরকে চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিয়েছিলেন কেকেআরের মেন্টর।
কী ঘটেছিল?
১৪তম ওভারে কভারের দিকে একটি শট খেলেছিলেন আন্দ্রে রাসেল। সেই বল আটকে দেন পঞ্জাবের আশুতোষ শর্মা। কিন্তু তিনি উইকেটরক্ষককে বল ফিরিয়ে দেওয়ার সময় অনেকটা দূরে ছোড়েন। যার ফলে এক রান নিয়ে নেন রাসেল। কিন্তু মাঠের দুই আম্পায়ার সেই রান নাকচ করে দেন। তাঁরা জানান বলটি আগেই ডেড হয়ে গিয়েছিল। ফলে ওই রান যোগ হবে না। যা নিয়ে চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করেন গম্ভীর। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি তিনি। যদিও ওই এক রানে ম্যাচের ফলে বদল হত না। ২৬১ রান তুলেছিল কেকেআর। তার পরেও ম্যাচটি হেরে যায় তারা। ৮ বল বাকি থাকতে রান তুলে নেয় পঞ্জাব কিংস। শতরান করেন জনি বেয়ারস্টো।
দারুণ ইনিংস বেয়ারস্টোর
এটি টি২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। আর সেই রেকর্ড গড়ল পঞ্জাব। ইডেনে শুক্রবার রাতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেন ইংল্যান্ড ব্যাটার। আইপিএল-এর ইতিহাসে তৃতীয়বার কোনও ম্যাচে ৫০০-র উপর রান হল। এক রাতে ব্যাটাররা মারলেন ৪২টা ছক্কা। অর্থাৎ খেলা হয়েছে প্রায় ৩৯ ওভার। অর্থাৎ প্রত্যেক ওভারেই হয়েছে ছক্কা। তবে তার মধ্যে স্টার্কের বদলি হিসেবে আসা, দুশমন্ত চামিরা ব্যর্থ। প্রথম রান আউটটা তাঁর দারুণ থ্রোতে হলেও, বোলার হিসেবে ৩ ওভারে খেলেন ৪৮ রান। উইকেটও পেলেন না। তাঁর বল খেলেই সেট হয়ে গেলেন বেয়াস্টো ও প্রভসিমরান সিং। পরে প্রভসিমরানকে রান আউট করলেও, সেই সময় পরপর উইকেট লাগত কেকেআর-এর। তা হয়নি। বেয়ারস্টো একের পর এক জুটি গড়তে থাকেন।
এদিন শুরুটা ভালই করেছিল কেকেআর। ১৬ ওভারেই ২০০ পেরিয়ে যায় কলকাতা। আর ইনিংস যখন শেষ হল তখন কলকাতার রান ২৬১। চতুর্থ ওভার শেষ হওয়ার আগেই বিনা উইকেটে ৫০ পেরিয়ে যায় কেকেআর। ৩২ বলে ৭১ রান করে নারিন যখন আউট হন তখনই কেকেআর-এর রান ১৩৮। ১০ ওভার ৩ বলে এই রান তোলেন দুই ওপেনার। আর সেটাই মঞ্চ গড়ে দেয় বড় রান করার। উল্টোদিলে ৩১ বলে ৬০ রান করেন সল্ট। ৬টা চার ও ৬টা ছক্কা আসে তাঁর ব্যাট থেকে। অন্যদিকে তাঁর পার্টনার নারিন মারেন ৯টা চার ও চারটে ছক্কা।
শেষদিকে ১৮তম ওভারে শ্রেয়াস আইয়ার পঞ্জাব ক্যাপ্টেন স্যাম কারেনের ওভারে ২৪ রান তোলেন। চার ওভার বল করে এক উইকেট নিলেও ৬০ রান দিয়েছেন কারেন। শুধু তিনি নন, মার খেয়েছেন আর্শদীপও। চার ওভারে ২ উইকেট নিলেও দিয়েছেন ৪৫ রান। ২ ওভারে ৩৭ রান দেওয়ায় হর্ষল প্যাটেল আর বল করার সুযোগই পাননি।