টি ২০ ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড। আইপিএল-এর ইতিহাসে তো বটেই, গোটা বিশ্বের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়ল পঞ্জাব (Punjab Kings)। তাও আবার নাইটদের (Kolkata Knight Riders) ডেন বলে পরিচিত ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens)। জনি বেয়ারস্টোরা (Jonny Bairstow) টপকে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ডকে।
সবচেয়ে বেশি রান চেজ করার রেকর্ড
এর আগে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেঞ্চুরিয়ানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচে চার উইকেটে ২৫৯ তাড়া করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর শুক্রবার রাতে জনি বেয়ারস্টোর শতরানে ভর করে ২৬২ তাড়া করে জিতল পঞ্জাব। প্লে অফের আশা প্রায় শেষ হলেও, রেকর্ড গড়ে যাচ্ছে পঞ্জাব।
তৃতীয়বার এক ম্যাচে ৫০০ পার
এদিন মাত্র ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেন ইংল্যান্ড ব্যাটার। আইপিএল-এর ইতিহাসে তৃতীয়বার কোনও ম্যাচে ৫০০-র উপর রান হল। এক রাতে ব্যাটাররা মারলেন ৪২টা ছক্কা। অর্থাৎ খেলা হয়েছে প্রায় ৩৯ ওভার। অর্থাৎ প্রত্যেক ওভারেই হয়েছে ছক্কা। তবে তার মধ্যে স্টার্কের বদলি হিসেবে আসা, দুশমন্ত চামিরা ব্যর্থ। প্রথম রান আউটটা তাঁর দারুণ থ্রোতে হলেও, বোলার হিসেবে ৩ ওভারে খেলেন ৪৮ রান। উইকেটও পেলেন না। তাঁর বল খেলেই সেট হয়ে গেলেন বেয়াস্টো ও প্রভসিমরান সিং। পরে প্রভসিমরানকে রান আউট করলেও, সেই সময় পরপর উইকেট লাগত কেকেআর-এর। তা হয়নি। বেয়ারস্টো একের পর এক জুটি গড়তে থাকেন।
এদিন শুরুটা ভালই করেছিল কেকেআর। ১৬ ওভারেই ২০০ পেরিয়ে যায় কলকাতা (Kolkata Knight Riders)। আর ইনিংস যখন শেষ হল তখন কলকাতার রান ২৬১।
চতুর্থ ওভার শেষ হওয়ার আগেই বিনা উইকেটে ৫০ পেরিয়ে যায় কেকেআর। ৩২ বলে ৭১ রান করে নারিন যখন আউট হন তখনই কেকেআর-এর রান ১৩৮। ১০ ওভার ৩ বলে এই রান তোলেন দুই ওপেনার। আর সেটাই মঞ্চ গড়ে দেয় বড় রান করার। উল্টোদিলে ৩১ বলে ৬০ রান করেন সল্ট। ৬টা চার ও ৬টা ছক্কা আসে তাঁর ব্যাট থেকে। অন্যদিকে তাঁর পার্টনার নারিন মারেন ৯টা চার ও চারটে ছক্কা।
শেষদিকে ১৮তম ওভারে শ্রেয়াস আইয়ার পঞ্জাব ক্যাপ্টেন স্যাম কারেনের ওভারে ২৪ রান তোলেন। চার ওভার বল করে এক উইকেট নিলেও ৬০ রান দিয়েছেন কারেন। শুধু তিনি নন, মার খেয়েছেন আর্শদীপও। চার ওভারে ২ উইকেট নিলেও দিয়েছেন ৪৫ রান। ২ ওভারে ৩৭ রান দেওয়ায় হর্ষল প্যাটেল আর বল করার সুযোগই পাননি।