প্রায় ২৫ কোটি টাকায় কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders) তাঁকে এই মরসুমে কিনেছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad) বিরুদ্ধে ম্যাচে মিশেল স্টার্ক (Mitchell Starc) হতাশ করেছেন কেকেআর ফ্যানদের। ইডেনের উইকেটে বরাবরের মতো শনিবারও সুবিধা পেয়েছেন পেস বোলাররা। তবে উইকেট নিতে পারেননি স্টার্ক। ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের মাটিতেই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন অজি ফাস্ট বোলার। সেই কারণেই তাঁকে নিতে সর্বস্ব বাজি লাগিয়ে দেয় কেকেআর। তবে তাঁর প্রথম ম্যাচের পারফর্ম্যান্স একেবারেই খুশি করতে পারেনি ফ্যানদের।
৪ ওভারে খেলেন ৫৩ রান
সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে ট্রোলিং-এর শিকার হয়েছেন অজি বোলার। প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে খেয়েছেন ৫৩ রান। একটাও উইকেট পাননি। প্রথম স্পেলে তাঁকে বল দিয়ে প্রায় বিপদেই পড়ে যাচ্ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। দুই ওভারে ২২ রান খেয়ে বসেন আইপিএল-এর সবচেয়ে দামি বোলার। ২০৮ রান করার পরেও তা নিরাপদ নয় বলেই মনে হচ্ছিল নাইট ফ্যানদের। অভিষেক শর্মা ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল তখন দুর্দান্ত ফর্মে। পরের দিকে হেনরিখ ক্লাসেন ব্যাট করতে এলেও একই ফল হয়। ১৯ তম ওভারে ফের বল করতে এসে ২৬ রান খেয়ে বসেন বিশ্বকাপ জেতা বোলার। তার ফলে শেষ ওভারে মাত্র ১৩ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। টি২০ ক্রিকেটের যুগে যা প্রায় জলভাত।
শেষ ওভারে দারুণ বল করে হর্ষিত রানা দুই উইকেট তুলে না নিলে ৪ রানে জিততে পারত না কেকেআর। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রানে শেষ হয় হায়দরাবাদের ইনিংস। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন গৌতম গম্ভীররা। যে কোনও আন্তর্জাতিক মানের তারকা খারাপ পারফর্ম করলে সমালোচনার শিকার হন। আর তাঁর নামের পাশে যদি এত দাম থাকে তা হলে তো কথাই নেই।
ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং-এর লক্ষ্য হয়ে ওঠেন স্টার্ক। নানা ধরনের মিম শেয়ার হতে থাকে তাঁকে নিয়ে। তবে শনিবার ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করায় আন্দ্রে রাসেলকেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়। ব্যাট হাতে শনিবারের ইডেনে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। মাত্র ২৫ বল খেলে ৬৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস তাঁর। ইনিংস সাজানো ছিল সাতটা ছক্কা ও তিনটে চারে। পাশাপাশি বল হাতেও নিয়েছেন দুই উইকেট।