রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ম্যাচে জয় পেলেও, ব্যাট করার সময় পিঠের চোট পান ভেঙ্কটেশ আইয়ার। বুধবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি কি খেলতে পারবেন? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ম্যাচের সেরা হওয়ার পরে, ভেঙ্কটেশ ইন্টারভিউতে জানান, ম্যাচের পর তাঁকে হাসপাতালে ছুটতে হয়।
কীভাবে পিঠে চোট পেলেন ভেঙ্কটেশ?
ম্যাচ চলাকালীনই পিঠের চোটে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ফিজিও এসে বেশ কিছুটা সময় তাঁর শুশ্রূষা করেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়ার পর নাইট তারকা জানালেন, 'পিঠে সামান্য খিঁচ লাগছিল। স্ক্যান করতে যেতে হয়েছিল। তবে ম্যাচ যত এগিয়েছে ততই ব্যথার উপশম হয়েছে। নারিন যেভাবে ব্যাট করল তাতে চাপ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। আমাকে গিয়ে স্রেফ নিয়মরক্ষা করতে হয়েছে।' ওপেনে সুনীল নারিন ও ফিল সল্টের ঝোড়ো ব্যাটিং-এর পর কেকেআরকে সহজ জয় এনে দিয়েছে ভেঙ্কটেশ আইয়ার। মাত্র ৩০ বলে ৫০ করে নাইটদের হয়ে চলতি সিজনে প্রথম হাফসেঞ্চুরি করে গিয়েছেন তিনি।
আরসিবি বোলার বৈশখ দারুণ বল করেছিলেন। তাঁর বল ফেস করা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে মনে করেন ভেঙ্কটেশ। তিনি বলেন, 'নারিন ও সল্ট যে ভিত গড়ে দিয়েছিল, তার ওপর চালিয়ে যাওয়া দরকার ছিল। ওঁদের বাঁ হাতি স্পিনারকে টার্গেট করতেই হত। আমার বাগদত্তাও স্টেডিয়ামে ছিলেন। কিছুটা কৃতিত্ব ওঁর-ও প্রাপ্য। বৈশখ বেশ ভালো বোলিং করছিল। ওঁকে ফেস করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। পেস কমিয়ে ধেয়ে আসা বল বেশ কঠিন ছিল। এমনকি দ্রুতগতির বলও সমস্যায় ফেলছিল।'
টসে জিতে আরসিবি-কে প্রথম ব্যাট করতে পাঠান কেকেআর ক্যাপ্টেন শ্রেয়াস আইয়ার। বিরাট কোহলির দারুণ ব্যাটিং-এ ভর করে ১৮৩ রানের টার্গেট দেয় আরসিবি। রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেন ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৮৪ রান তুলে ফেলে কেকেআর। এরপর শ্রেয়াস আইয়ার ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার মিলে ৭৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জেতার রাস্তা দেখান।