টানা ৬ ম্যাচ জিতে শেষ চারে আরসিবি। দারুণ ক্যাপ্টেন্সি ফাফ ডু প্লেসির। ব্যাট হাতে সফল হওয়ার পরে ফিল্ডিং কোর্টে নেমে স্যান্টনারের দারুণ ক্যাচ নিয়ে ম্যাচের ভাগ্যই ঘুরিয়ে দিলেন আরসিবি ক্যাপ্টেন। ২৭ রানে শুধু ম্যাচ জিতল না আরসিবি, পাশাপাশি ১৯১ রানে প্রতিপক্ষকে আটকে প্লে অফে জায়গা করে নিল আরসিবি।
২০১ রান তাড়া করলেই চেন্নাই পৌঁছে যাবে প্লে অফে। কিন্তু প্রথম বল থেকেই উইকেট হারাতে থাকায় চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। ১৩৮ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তবে উইকেটে রয়েছেন ধোনি ও জাদেজা। প্লে অফে যেতে শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ১৬ রান। প্রথম বলেই ছক্কা মারেন ধোনি। জশ দয়ালের ফুলটস বল স্টেডিয়ামের বাইরে চলে যায়। দ্বিতীয় বলেও বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন ধোনি। সেই সময়ও ১১ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। শার্দূল মিস করেন। পরের বলে ১ নিলেও, চতুর্থ বলে রান পাননি জাদেজা। শেষ বলেও ডট।
জিততেই হবে এই অবস্থায় খেলতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংসের সামনে ২১৮ রানের লক্ষ্য রাখল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ঘরের মাঠে শুরুটা দারুণ করেছিলেন বিরাট কোহলি, ফাফ ডু প্লেসিরা। তবে বৃষ্টি এসে যাওয়ায় ম্যাচ কিছুটা সময় বন্ধ থাকে। ম্যাচ শুরু হওয়ার পরে পিচে বল দারুণ স্পিন করতে থাকে। সেই সময় চেন্নাই স্পিনাররা রাজত্ব করলেও, একটাও উইকেট হারায়নি আরসিবি। তবে সময় যত গড়াতে থাকে ততই সহজ হয় এই পিচে খেলা। উইকেট হাতে থাকায় সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ভোলেননি আরসিবি ক্যাপ্টেন ফাফ।
২৯ বলে ৪৭ রান করে বিরাট আউট হলেও, ক্যাপ্টেনের ইনিংস খেলে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যান ফাফ। ৩৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস তাঁর। স্যান্টনারের বলে নন স্ট্রাইকিং এন্ডে রান আউট হন তিনি। নিউজিল্যান্ড স্পিনারের বল হাতে লেগে উইকেটে যখন লাগে তখন ক্রিজের বাইরে ছিলেন ফাফ। রজত পাতিদারও ভাল ইনিংস খেলেন। ২৩ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষদিকে ৬ বলে ১৪ রান করেন দীনেশ কার্তিক। ম্যাক্সওয়েল ৫ বলে করেন ১৬ রান।