ঘরের মাঠে দুরন্ত কামব্যাক যশ দয়াল। গত মরসুমে গুজরাত টাইটান্সের হয়ে কেকেআর-এর বিরুদ্ধে ম্যাচে রিঙ্কু সিং-এর কাছে ৫ বলে ৫ ছক্কা খাওয়া যশ কামব্যাক করলেন একেবারে রাজার মতো। বলা হয় চ্যাম্পিয়রা বড় ম্যাচের প্লেয়ার। যশ গত মরসুমের ব্যর্থতা ফুঁৎকারে উড়িয়ে এ মরশুমে যেভাবে ফিরে এলেন তা নিয়ে কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। প্লে অফে যেতে হলে ১৮ রানে চেন্নাইকে হারাতে হত। এই অঙ্ক মাথায় নিয়েই খেলতে নেমেছিল আরসিবি।
শেষ ওভারে কী হল?
প্লে অফে উঠতে হলে শেষ ওভারে ১৭ রান করে হত চেন্নাইকে। ক্রিজে তখনও রবীন্দ্র জাদেজা ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। শুধু তাই নয়, ওভারের প্রথম বল একটু লেগ সাইডের দিকে ফুলটস পড়তেই তা স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠিয়ে দেন মাহি। ১১০ মিটারের সেই ছক্কা খেয়ে যে কোনও বোলারের মনে পড়ে যাওয়ার কথা রিঙ্কু সিং-এর সেই ইনিংস। তবে দ্বিতীয় বলেই এল সাফল্য। অফ স্ট্যাম্পের একটু বাইরে স্লোয়ার বল করতেই তা উড়ে গেল ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগের দিকে। সকলেই যখন ভাবছিলেন ম্যাচ বের করে নিয়ে চলে গেল চেন্নাই, ঠিক সেই সময়ই মাথা ঠাণ্ডা রেখে ক্যাচ ধরেন স্বপনীল সিং। এবার ব্যাট করতে এলেন শার্দুল ঠাকুর। তৃতীয় বলে কোনো রান করতে পারেননি শাদুল, চতুর্থ বলে এক রান নিয়ে জাদেজাকে স্ট্রাইক দেন। এখন সিএসকে দুই বলে ১০ রান করতে হত, কিন্তু দয়ালের ব্যাক হ্যান্ড স্লোয়ার বল জাদেজাকে পরাস্ত করে। শেষ দুই বলে কোনো রান করতে পারেননি জাদেজা।
যশ দয়াল যেভাবে বোলিং করেছেন তা প্রশংসনীয়। দয়াল গত আইপিএল মরসুমে গুজরাত টাইটান্সের হয়ে খেললেও খুব ভাল পএফরর্ম কোর্টে পারেননি। আইপিএল ২০২৩-এ, দয়ালের ইকোনমি রেট ছিল ১১.৭৯। ৫ ম্যাচে মাত্র দুটি উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর তাকে ছেড়ে দেয় গুজরাত।
যশ দয়াল গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আরসিবিকে সাফল্য এনে দিয়েছেন এবং তার ইকোনমি রেটও দুর্দান্ত। ২৬ বছর বয়সী যশ দয়াল আইপিএল ২০২৪-এ এখনও পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে ফেলেছেন। ৮.৯৪ ইকোনমি রেট। দয়াল এখনও পর্যন্ত ২৩টি ফার্স্ট ক্লাস, ২০টি লিস্ট-এ এবং ৫৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে মোট ১৫৭টি উইকেট নিয়েছেন।