বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে এবারের আইএসএল অভিযান শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল। অ্যাওয়ে ম্যাচে কী স্ট্র্যাটেজি হতে পারে কার্লেস কুয়াদ্রাতের তা যেমন ভবাচ্ছে বেঙ্গালুরু দলকে তেমনই চিন্তায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও। ধোঁয়াশা রেখেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচও। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শিলং-এ লাজং এফসি-র হারের পর কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা। ফলে আইএসএল-এর আগে সতর্ক লাল-হলুদ শিবির।
৩ ডিফেন্ডারে খেলাই পছন্দ কুয়াদ্রাতের। তবে দলের ফুটবলারদের কথা মাথায় রেখে আর পরিস্থিতির কথা বিচার করে চার ডিফেন্ডারে খেলতে হচ্ছে তাদের। তবে অনুশীলনে বারেবারে তিন ডিফেন্ডারে খেলাচ্ছেন কুয়াদ্রাত। কখনও কখনও আবার চার ডিফেন্ডারেও চলছে অনুশীলন। শেষ পর্যন্ত সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে কোন রণকৌশল নেবে ইস্টবেঙ্গল? শেষদিনের অনুশীলনেও সেরকম কোনও আভাস পাওয়া যায়নি। কারণ, একবার তিন ডিফেন্ডার নিয়ে অনুশীলন করার পর, চার ডিফেন্ডারকে রেখেও অনুশীলন করান কুয়াদ্রাত। ফলে এখনই নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছেন না।
চার ডিফেন্ডারে খেললে কেমন হতে পারে ইস্টবেঙ্গল দল?
দুই উইংব্যাক হিসেবে ডানদিকে খেলতে পারেন রাকিপ এবং বামদিকে মার্ক। ডিফেন্সে হিজাজি, হেক্টর এবং লালচুনুঙ্গা। মাঝমাঠে দেখা যেতে পারে জিকসন সিং এবং সউল ক্রেসপোকে। সামনে তিন স্ট্রাইকার মহেশ, দিমানতাকোস এবং ডেভিড।
তিন ডিফেন্ডারে খেললে ইস্টবেঙ্গল দলে কারা খেলতে পারেন?
সেক্ষেত্রে মার্ক প্রথম একাদশ থেকে বাদ যেতে পারেন। লেফট ব্যাক খেলতে পারেন লালচুংনুঙ্গা ডানদিকে খেলতে পারেন রাকিপ এবং ডিফেন্সে হিজাজি, হেক্টর। মাঝমাঠে ঢুকছেন মাদিহ তালাল। চোট কাটিয়ে দলে ফিরতে পারেন তিনি। সঙ্গে থাকবেন জিকসন সিং এবং সউল ক্রেসপো। সামনে তিন স্ট্রাইকার মহেশ, দিমানতাকোস এবং ডেভিড।
সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর আমলে দল কী কী সাফল্য পেয়েছে সেগুলি তুলে ধরলেন কুয়াদ্রাত। শুধু তাই নয় টেনে আনলেন মরগ্যান জমানার কথা। তিনি বলেন, 'আমি ইস্টবেঙ্গলের কোচ হয়ে আসার পরে, অনেক সাফল্য পেয়েছে। আমি শুনেছি ট্রেভর জেমস মরগ্যান ইস্টবেঙ্গলকে প্রচুর সাফল্য দিয়েছিলেন। তারপরে কিন্তু কোচ হিসেবে আমিই সব থেকে সফল।' আনোয়ার আলি না থাকা নিয়ে কুয়াদ্রাত বলছেন, 'আনোয়ারের মতো ফুটবলার না থাকাটা অবশ্যই একটা বড় ধাক্কা। তবে আমি সেটা নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না। বরং আমার হাতে বাকি যে অস্ত্র রয়েছে তাদেরকে নিয়েই পরিকল্পনা করছি।'