চোট কাটিয়ে ফিরেই মোহনবাগানকে ফাইনালে তুলে দিলেন সাহাল আব্দুল সামাদের (Sahal Abdul Samad)। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়ে হেডে গোল করে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে (Mohun Bagan Super Giant) ২-০ গোলে জেতালেন ভারতীয় দলের তারকা। প্রথম লেগে ১-২ গোলে হারলেও ঘরের মাঠে ২-০ গোলে ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে ফাইনালে মোহনবাগান।
প্রথম গোলের ক্ষেত্রে কৃতিত্ব যদি হয় জেসন কামিন্সের (Jason Cummings) তবে এমন গোল খাওয়ার জন্য নিজের দোষটাও এড়িয়ে যেতে পারেন না ওড়িশা (Odhisa FC) গোলকিপার অমরিন্দর সিং। গোলকিপাররা কোনও শট ফিস্ট করতে হলে তা কখনই সোজা করেন না। তাতে বিপক্ষের স্ট্রাইকারের কাছে তা চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এদিন ওড়িশা গোলকিপার সেই ভুলটাই করে বসলেন। ম্যাচের ২২ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসের শট সামনের দিকে ফিস্ট করলেন। সুযোগের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা জেসন কামিন্স ট্যাপ করে গোল করে যান।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে মোহনবাগানের গোল বাঁচান হেক্টর উস্তে। ইশাক রালতের হেড বাঁচানোর মতো জায়গায় ছিলেন না সবুজ-মেরুন গোলকিপার বিশাল কাইত। গোললাইন থেকে বল বাঁচান হেক্টর। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অভিষেক সূর্যবংশীকে নামিয়ে দেন হাবাস। দীপক টাংরির জায়গায় আসেন তিনি। ওড়িশার দিয়েগো মরিসিওর জায়গায় আসেন সাই গার্ডাড। লোবেরা তুলে নেন পুইটিয়াকেও। তাঁর জায়গায় নামেন জেরি মাউইহমিংথাঙ্গা।
৫৮ মিনিটে গোল করে যেতে পারতেন অনিরুদ্ধ থাপা। ডানদিক থেকে মনবীর সিং-এর ক্রস থেকে হেড করেন মোহনবাগান মিডফিল্ডার। প্রথম পোস্টে রাখা সেই হেড অমরিন্দরের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে গলে গেলেও তা জালে জড়ায়নি। ৬৪ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে গোল করার চেষ্টা করলেও, পেত্রাতসের শট বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৬৮ মিনিটে প্রিস্টনের জায়গায় লেনি রডড্রিগেজকে নামিয়ে দেন লোবেরা। সাহাল আব্দুল সামাদকে নামিয়ে দেন হাবাসও। চোটের জন্য দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন ভারতীয় দলের এই তারকা।