'ওড়িশার ফুটবলাররা আমাকে মারতে গিয়েছিল...' যুবভারতীতে ম্যাচ জিতে বিস্ফোরক মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant) ক্যাপ্টেন শুভাশিস বসু। ১-২ গোলে পিছিয়ে থেকে খেলতে নামলেও, ঘরের মাঠে ওড়িশাকে (Odhisa FC) ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেল মোহনবাগান। আর সেই ম্যাচের পরেই ওড়িশা ফুটবলারদের বিরুদ্ধে শারীরিক আক্রমণ করার অভিযোগ তুললেন বাঙালি ডিফেন্ডার।
কী ঘটেছিল?
ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দুই দলের ফুটবলাররা। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল ম্যাচ শেষে সে কথাই সাংবাদিকদের জানালেন সবুজ-মেরুন ক্যাপ্টেন। তিনি বলেন, 'ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আমরা সকলেই ওড়িশা ফুটবলারদের সঙ্গে হাত মেলাতে যাই। ম্যাচ হেরে ওরা বেশ রেগে ছিল। আমি যেতেই, ওরা আমার দিকে জল ছোড়ে। আমায় মারতেও যায়। ম্যাচ হেরে ওদের মাথা ঠিক ছিল না। কী বলব? কিছু বলার নেই।'
ফাইনাল জেতার অঙ্গীকার শুভাশিসের
ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে ফাইনাল ম্যাচ খেলা যে আলাদা অ্যাডভান্টেজ তা মেনে নিচ্ছেন শুভাশিস। তিনি বলেন, 'অবশ্যই ফাইনাল ম্যাচে হোম ক্রাউড তো থাকবেই। আমরা আমাদের সেরাটা দেব।'
দেখুন সাহালের গোল
যেভাবে জিতল মোহনবাগান
এদিন শুরু থেকেই আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছিল মোহনবাগান। গোলমুখ খুলে যায় ২২ মিনিটে। দিমিত্রি পেত্রাতোসের শট সামনের দিকে ফিস্ট করলেন। সুযোগের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা জেসন কামিন্স ট্যাপ করে গোল করে যান। তবে প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে মোহনবাগানের গোল বাঁচান হেক্টর উস্তে। ইশাক রালতের হেড বাঁচানোর মতো জায়গায় ছিলেন না সবুজ-মেরুন গোলকিপার বিশাল কাইত। গোললাইন থেকে বল বাঁচান হেক্টর। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে বাঁ দিক থেকে উঠে আসা মনবীর সিং অনেকটা এগিয়ে এসে ক্রস করেন নরেন্দ্র গেহলট সামনে থাকলেও, তা ক্লিয়ার করতে পারেননি। বল অমরিন্দরের পায়ে লেগে সাহালের মাথায় লেগে বল গোলে ঢোকে। ৬২ হাজার দর্শকের সামনে সুযোগ তৈরি করলেও গোল শোধ করতে ব্যর্থ হয় ওড়িশা।