লিগ শিল্ড জিততে হলে এই ম্যাচটা জিততেই হত মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে (Mohun Bagan Super Giant)। আর সেটাই করে দেখাল সবুজ-মেরুন। গোল করে জেতালেন দিমিত্রি পেত্রাতোস (Dimitri Petratos)। শনিবার প্রতিপক্ষ পঞ্জাব এফসিকে (Punjab FC) হারানো একেবারেই সহজ ছিল না। দিল্লির ঘরের মাঠে দারুণ লড়াই চালালেও প্রথমার্ধেই গোল খেয়ে যায় পঞ্জাব এফসি। ম্যাচের প্রথমার্ধে আক্রমণের চাপ খুব বেশি ছিল না কোনও দলেরই। মূলত মাঝমাঠ দখলের লড়াই চলতে থাকে দুই দলের মধ্যে। মাত্র ২৯ মিনিটেই গোল করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন। জেসন কামিন্সের শট অনেকটাই উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।
৩০ মিনিটেই সুযোগ এসে গিয়েছিল পঞ্জাবের সামনেও। জর্ডনের শট কোনওমতে ঝাঁপিয়ে সেভ করেন সবুজ-মেরুন গোলকিপার বিশাল কাইত। ৪৩ মিনিটে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। শুভাশিসের শট বক্সের মধ্যে হোল্ড করে পেত্রাতোসকে পাস বাড়ান কামিন্স। তাঁর পাস থেকে বাঁ পায়ের চেটো দিয়ে মারা শটে গোল করে যান পেত্রাতোস। ৪৫ মিনিটে হেড করে গোল করলেও তা অফ সাইডের জন্য বাতিল হয়। দ্বিতীয়ার্ধে চেষ্টা করলেও গোল করতে পারেনি মোহনবাগান। সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল পঞ্জাবও তারাও গোল করতে পারেনি।
১-০ ব্যবধান খুব একটা নিরাপদ নয়, তা বুঝতে পেরেই লিস্টনকে নামিয়ে দেন মোহনবাগান কোচ। তাতেও গোল আসেনি। শেষদিকে একটা সুযোগ পেলেও সেখান থেকে গোল পায়নি সবুজ-মেরুন। এই ম্যাচ জেতার ফলে সুবিধা হল ইস্টবেঙ্গলেরও। ২০ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট পেয়ে দুই নম্বরে উঠে এল মোহনবাগান। আর ২১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে থাকল পঞ্জাব। ২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে ইস্টবেঙ্গল।
এদিন ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন অভিষেক সূর্যবংশী। গোটা ম্যাচ মাঠ জুড়ে দাপিয়ে খেলতে থাকেন তরুণ এই ফুটবলার। মাঝমাঠের দখল খুব বেশি পঞ্জাবের দিকে যেতে দেননি তিনি। সেই কারণেই সেরা হন।