বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে হার দিয়েই আইএসএল অভিযান শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শুরু থেকেই কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে উত্তেজনা ছিল। যার জেরে প্রথম ২০ মিনিটে তিন তিনটে হলুদ কার্ড খেয়ে বসে বসে থাকেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। গোল করে বেঙ্গালুরু এফসিকে এগিয়ে দেন ভিনিথ। শুধু গোল করা নয়, রেকর্ডও গড়ে ফেললেন এই তরুণ ফুটবলার। মেন্ডেজের সাজিয়ে দেওয়া বল থেকে জোরালো শটে গোল করে গেলেন আইএসএল অভিষেক ম্যাচে নামা ভিনিথ।
লালহলুদের মাঝমাঠ একদম কাজ করেনি। বলই পাননি ডিয়ামানতাকোস। ফলে নিষ্প্রভ হয়ে থাকেন সাউল ক্রেসপোও। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের জন্য একমাত্র আক্রমণ জিকসন সিং-এর শট। যা দারুণভাবে বাঁচান গুরপ্রীত সিং সান্ধু। এরপর কিছু বিক্ষিপ্ত সুযোগ পেলেও কাজের কাজ হয়নি। নন্দকুমারের শটও সরাসরি গুরপ্রিতের হাতে প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫১ মিনিটে একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় নন্দকুমার শেখরের শট। এরপরেই বেঙ্গালুরুর হয়ে দারুণ শট করেন মেন্ডেজ। তাঁর শট দারুণভাবে সেভ করেন গিল।এরপর দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসের জায়গায় মাদিহ তালালকে নামিয়েও ফল পাননি ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ৬৭ মিনিটে ফের দূর থেকে শট করলেও তা গোলে রাখতে পারীনি জিকসন। ৮৭ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় মার্চিং অর্ডার পান লালচুংনুঙ্গা।
ইস্টবেঙ্গলের গোল খাওয়ার পেছনে নুঙ্গার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তার উপর লাল কার্ড দেখে দলের সমস্যা আরও বাড়িয়েছেন এই ডিফেন্ডার। ফলে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় লাল-হলুদকে।
তবে ইস্টবেঙ্গলের এই ফুটবল নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। ট্রান্সফার মার্কেটে ঝড় তুলে যে আশা দেখিয়েছিল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল, মাঠে নামতেই সেই পুরনো হতাশার ছবিই ফুটে উঠল। যা নিয়ে চিন্তায় লাল-হলুদ সমর্থকরা। প্রথম ম্যাচ হলেও পরে কি এই সমস্যা কাটবে? তা এখনই স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, কোচ কুয়াদ্রাতের রণকৌশল নিয়েও। কেন তিনি তাঁর সবচেয়ে বড় অস্ত্র মাদিহ তালালকে শুরু থেকে খেলালেন না? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর হাতড়াচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।