ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে সকলকে চমকে দিয়ে জয় পেয়েছে চেন্নাইয়েন এফসি। ফলে সুবিধা হয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের। কারণ তাদের সামনে সুযোগ থাকছে শীর্ষে ওঠার। ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে চেন্নাইয়েনের ৩-১ জয় মোহনবাগানকে যেমন অক্সিজেন দিয়েছে তেমনই মোহনবাগানকে লিগ টেবলে এক নম্বরে ওঠার বাড়তি সুযোগ করে দিল। রবিবার রাতে ঘরের মাঠে চেন্নাইয়েন হারিয়ে দেয় ওড়িশাকে।
চেন্নাইয়িনকে ৬ মিনিটে এগিয়ে দেন মোহনবাগানেরই প্রাক্তন ফুটবলার অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। তবে সেই গোল শোধ করেন মোহনবাগানের আরও এক প্রাক্তন ফুটবলার রয় কৃষ্ণা। ম্যাচ এভাবেই চলছিল। গোল খায়নি চেন্নাইয়েন। তবে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে জেতান চেন্নাইয়েনের জর্ডন মারে। ৯৪ মিনিটে জয় গোল জর্ডন মারের। তবে ওডিশার একাধিক আক্রমণ সামাল দেন চেন্নাই কিপার দেবজিৎ মজুমদার। ১৮ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্টে ওডিশা এখনও লিগ টেবলে শীর্ষে। ১৭ ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি-র পয়েন্টও ৩৫। তিন নম্বরে থাকা মোহনবাগানের ১৬ ম্যাচে ৩৩। মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের পরের ম্যাচ ডার্বি। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। জিততে পারলে আন্তনিও হাবাসের টিম লিগ টেবলের শীর্ষে চলে যাবে।
তবে এই ম্যাচ যুবভারতীতে হওয়া নিয়ে এখনও সংশয় কাটেনি। ওই দিন ব্রিগেডে তৃণমূল কংগ্রেস সমাবেশ করছে বলে পুলিশ নির্ধারিত সময় ডার্বি করার অনুমতি দেয়নি। আইএসএল-এর সংগঠক এফএসডিএল কোনওভাবেই এই ম্যাচ পিছোতে রাজি নয়। যুবভারতীতে না হলে ইস্টবেঙ্গলকে অন্য রাজ্যে সরাতে হবে এই ডার্বি। এ ক্ষেত্রে এই ডার্বি ভুবনেশ্বর ও জামশেদপুরের মধ্যে কোথাও ম্যাচ হতে পারে। ইমামি ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষের তরফে বিকল্প ভেনু খোঁজা চলছে। ডার্বির আগে সে ক্ষেত্রে বেশ চাপে পড়বে কার্লেস কুয়াদ্রাতের টিম। কারণ ৬ ফেব্রুয়ারি লাল হলুদের ম্যাচ রয়েছে গোয়ায় এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। ফিরে এসেই তাদের ডার্বি খেলতে যেতে হবে অন্য রাজ্যে। অন্যদিকে হাবাসের দল ডার্বির জন্য যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকদিন ধরেই।