ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠে গিয়েছে কলকাতার দুই বড় ক্লাব। ফাইনাল তার ওপর আবার ডার্বি। ফলে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট বদলা নিতে তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে টানা পঞ্চম ম্যাচ জিতে ডুরান্ড কাপ ঘরে তুলতে মরিয়া ইমামি ইস্টবেঙ্গলও। শুক্রবার সকাল থেকেই ময়দানে টিকিটের লম্বা লাইন।
ফাইনালের প্রতিপক্ষকে মেপে নিতে এফসি গোয়া বনাম মোহনবাগান ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর সঙ্গে তাঁর সহকারি দিমাস দেলগার্ডো উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার ম্যাচ শেষ হতেই টিকিট নিয়ে খোঁজ খবর করতে শুরু করে দেন সমর্থকরা। কবে থেকে শুরু হবে, কোথায় পাওয়া যাবে। সমর্থকদের দাবিকে মান্যতা দিতে এবার ডুরান্ড কমিটি অপেক্ষা করেনি ফাইনালের টিকিট নিয়ে। গ্রুপস্তরে ডার্বির টিকিট নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল এবার আর সেটা হয়নি। মোহনবাগানের টিকিট পাকা হতেই ডুরান্ড কমিটি ফাইনালের টিকিটের ঘোষণা করে দিয়েছে।
রবিবার দুপুর চারটের সময় শুরু হবে ডুরান্ড কাপ ফাইনাল। তার আগে পর্যন্ত পাওয়া যাবে টিকিট। তবে গত ডার্বির মত এবারের ডার্বিতেও অনলাইনে টিকিট মিলবে না। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাব থেকে মিলবে টিকিট। যদিও শুক্রবার থেকেই টিকিটের লাইন দিয়েছেন দুই প্রধানের সমর্থকরা। ডার্বির টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। ১ ও ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিক্রি হবে ডুরান্ডের টিকিট। ৩ তারিখ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত বিক্রি হবে টিকিট। আগে এলে আগে পাওয়া যাওয়ার ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি করা হবে। দুই ক্লাব থেকে টিকিট বিক্রির সময় এক।
অনলাইনে নয়, অফলাইনেই পাওয়া যাবে ডার্বির টিকিট। আর সেই জন্যই সকাল থেকে দুই ক্লাবে ভিড় জমিয়েছেন সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার এফসি গোয়াকে হারানোর পরেই মোহনবাগান সমর্থকরা যুবভারতীর গ্যালারিতে বদলার হুঙ্কার শুনিয়েছিলেন। রবিবারের ডার্বিতে কি বদলা হবে? নাকি গ্রুপ পর্বের মতোই আবারও জিতবে ইস্টবেঙ্গল? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।