আইএসএল-এর ফরতি ডার্বির টিকিটের দাম নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। মোহনবাগান ক্লাব এর প্রতিবাদে ডার্বি বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকেও এর নিন্দা করা হয়েছে। সবুজ-মেরুনের দেওয়া প্রতিক্রিয়ার পরেই মুখ খোলেন লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। প্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া একেবারেই ঠিক হয়নি।
ডার্বির টিকিটে দেখা যাচ্ছে অনেক বেশি দামে টিকিট কিনতে হবে মোহনবাগান সমর্থকদের। এর আগে ডার্বিতে কোনওদিন এমনটা হয়নি। এবার এর জেরেই মোহনবাগান ক্লাব সিদ্ধান্ত নেয়, তারা ডার্বির কোনও টিকিট বিক্রি করবে না। এরপরেই দেবব্রত সরক্র বলেন, 'টিকিটের দাম নিয়ে যা হয়েছে তা একেবারেই ঠিক হয়নি। বৈষম্যটা নিয়ে আমিও ভাবছিলাম। এটা ঠিক হয়নি বলেই আমার প্রথামি ধারনা। আমি জানতে পেরে আলোচনা করলাম। ওরা অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে। এখান থেকে পিছিয়ে আসা অসম্ভব। ওনারা একটা প্রেস বিবৃতি দিয়ে গোটা বিষয়টা জানাবেন বলেছেন। তবে আমি বলেছি, পরের বার থেকে যেন এমনটা আর না হয়। টিকিটের দাম জাতে ঠিক থাকে তা নিয়ে আগে থেকে পরিকল্পনা করতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সমস্ত ফুটবল প্রেমীর কাছে ক্ষমা চাইছি।'
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সবুজ-মেরুন ক্লাব জানিয়েছে, 'বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলকে ভারতে বদনাম করেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। এটি বিশ্বের কোথাও নজিরবিহীন যে অ্যাওয়ে টিমের ভক্তদের এমন দামে ম্যাচের টিকিট কিনতে হবে যা হোম টিমের ভক্তদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এটি একটি লজ্জাজনক ঘটনা যা আমরা বিখ্যাত কলকাতা ডার্বির ইতিহাসে প্রত্যক্ষ করছি।'
মোহনবাগান ফুটবল টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে খবর, পরবর্তীকালে এই রকম ডার্বিতে যেখানে মোহনবাগান আয়োজক হবে সেখানে ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির টিকিটের দাম এমন হতে পারে, যেখানে সাধারণ লাল-হলুদ সমর্থকদের মাঠে ডার্বি দেখতে যাওয়াই মুশকিল হতে পারে।
সমালোচনার মুখে দাঁড়িয়ে ইমামি জানিয়েছিল, 'আইএসএল-এর প্রথম ডার্বির আয়োজন করেছিল মোহনবাগান। তখন টিকিটের দাম যা ছিল, সেটাই এবারে মোহনবাগানের টিকিটের দাম রাখা হয়েছে।' টিকিটের এমন ফারাক দেখে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, 'আমরা এই বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি। যা বলার বৃহস্পতিবার বলব। তবে বলতে পারি নোংরা ঘটনা। ময়দান কলুষিত হচ্ছে এই ঘটনায়।' ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে যদিও জানানো হয়েছে, 'টিকিটের দাম ঠিক করেছে ইমামি। এখানে তাদের কোনও ভূমিকা নেই।' এখনও এখনও অফ লাইন টিকিটের বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব থেকে বলা হয়েছে, শীঘ্রই অফলাইন টিকিটের বিষয়টি সমর্থকদের উদ্দেশে জানানো হবে।