ডার্বি ম্যাচে দুই প্রধানের টিকিটের দাম দুই রকম। এ নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ ইমামি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইমামি। রবিবারের আইএসএলের ডার্বির সময় নিয়ে নাটক কম হয়নি। এরপর সেই ম্যাচের টিকিটের দাম নিয়েও শুরু হল বিতর্ক।
এই ম্যাচের আয়োজক ইস্টবেঙ্গল। তাই ম্যাচের টিকিটের দাম নির্ধারণ করার অধিকার তাদেরই। তবে টিকিট কাটার সময় দেখা যায় শুধুমাত্র মোহনবাগান গ্যালারির টিকিটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। এতদিন পর্যন্ত দুই প্রধানের সমর্থকরাই একই দামের টিকিট কেটে গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পেরেছে। কিন্তু এদিন ডার্বির টিকিটের দাম প্রকাশিত হতেই অবাক প্রায় সকলেই। দেখা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের টিকিটের থেকে মোহনবাগান গ্যালারির টিকিটের দাম অনেক বেশি, যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। মোহনবাগান ফুটবল টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে খবর, পরবর্তীকালে এই রকম ডার্বিতে যেখানে মোহনবাগান আয়োজক হবে সেখানে ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির টিকিটের দাম এমন হতে পারে, যেখানে সাধারণ লাল-হলুদ সমর্থকদের মাঠে ডার্বি দেখতে যাওয়াই মুশকিল হতে পারে।
হোম টিম হিসাবে ইস্টবেঙ্গলের টিকিটের দাম থেকে মোহনবাগান গ্যালারির টিকিটের দাম বেশি রাখা হয়েছে। যেমন ইস্টবেঙ্গল গ্যালারি 'সি- টু' (ডানদিক) গ্যালারির টিকিটের দাম ৪০০ টাকা। সেখানে ঠিক তার উলটো দিকে মোহনবাগান গ্যালারি হিসাবে নির্ধারতি 'সি-টু (বাম দিক)' গ্যালারির টিকিটের দাম ৫০০ টাকা। আবার ধরুন ইস্টবেঙ্গল গ্যালারি সি-থ্রির (ডানদিক) টিকিটের দাম ২০০ টাকা। মোহনবাগান গ্যালারি সি-থ্রির (বামদিক) টিকিটের দাম ৩৫০ টাকা। একই দামের পার্থক্য রয়েছে সি-ওয়ান গ্যালারির দুই বিপরীত দিকের টিকিটেও। যেখানে ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির সর্বনিম্ন দামের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে ১০০ টাকায় (বি-থ্রি)। সেখানে এর ঠিক উলটো প্রান্তে মোহনবাগান গ্যালারির (ডি-থ্রি) টিকিটের দাম ২৫০ টাকা। বি ওয়ান আর ডি ওয়ান গ্যালারিতেও দামের তারতম্য দেখা গিয়েছে। সেখানে আবার দুশো টাকার ফারাক দেখা গিয়েছে। বি টু আর ডি-টু গ্যালারির টিকিটের দামেও ২০০ টাকা ফারাক দেখা গিয়েছে।
সমালোচনার মুখে দাঁড়িয়ে ইমামির বক্তব্য, 'আইএসএল-এর প্রথম ডার্বির আয়োজন করেছিল মোহনবাগান। তখন টিকিটের দাম যা ছিল, সেটাই এবারে মোহনবাগানের টিকিটের দাম রাখা হয়েছে।' টিকিটের এমন ফারাক দেখে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, 'আমরা এই বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি। যা বলার বৃহস্পতিবার বলব। তবে বলতে পারি নোংরা ঘটনা। ময়দান কলুষিত হচ্ছে এই ঘটনায়।' ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে যদিও জানানো হয়েছে, 'টিকিটের দাম ঠিক করেছে ইমামি। এখানে তাদের কোনও ভূমিকা নেই।' এখনও এখনও অফ লাইন টিকিটের বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব থেকে বলা হয়েছে, শীঘ্রই অফলাইন টিকিটের বিষয়টি সমর্থকদের উদ্দেশে জানানো হবে।