টানা পাঁচ ম্যাচ হারল ইস্টবেঙ্গল। ফের ডার্বি হারল লাল-হলুদ। কলকাতায় এসেই ০-২ গোলে হারতে হল ইস্টবঙ্গলের নয়া কোচ অস্কার ব্রুজোকে। ইস্টবেঙ্গলকে প্রায় কোনও সুযোগই দেয়নি মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। প্রথম গোল ম্যাকলরেন ও দ্বিতীয় গোল তাঁর পরিবর্ত হিসেবে নামা পেত্রাতোসের।
প্রথম ১০ মিনিটে দাপট ছিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের। প্রথমার্ধে তিনটে দারুণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। সুযোগ পেলে গোলের দরজা খোলার চেষ্টা করতে থাকে লাল-হলুদও। প্রথম গোলটা পেয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। তবে অফ সাইডের জন্য গোল বাতিল হয়। নিজেদের ডিফেন্সের ভুলে বিশেষত আনোয়ার আলির ভুল থেকে প্রথমার্ধেই ১ গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। গোল করেন জেমি ম্যাকলরেন। ডানদিক থেকে মনবীর সিং-এর ক্রস থেকে আনোয়ার হেক্টরের পেছন থেকে এসে গোল করে যান ম্যাকলরেন। প্রথমার্ধের প্রায় গোটাটা ভাল খেললেও একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রথম পোস্ট থেকে গোল খান। তার আগে বেশ কয়েকবার নিশ্চিত গোল বাঁচান ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
প্রথমার্ধে ক্লেইটন সিলভা সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। তা না হলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। তবে প্রথমার্ধের সেই সুযোগ নষ্ট করার খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। জামশেদপুরের বিরুদ্ধেও গোল করার এই সমস্যাই ভুগিয়েছিল লাল-হলুদকে। সে যাগয়া থেকে এখনও বেরোতে পারল না তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে ডেভিডের জায়গায় পিভি বিষ্ণুকে নিয়ে আসেন অস্কার। দ্বিতীয়ার্ধেও সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। গ্রেগ স্টুইয়ার্ট প্রায় মাঝমাঠ থেকে লং থ্রু বল বাড়ান লিস্টন কোলাসোকে। তাঁর দারুণ ক্রস ফাঁকা জায়গায় পেয়ে যান মনবীর। তবে তাঁর প্রথম টাচ বড় হওয়ায় ক্রস করার আগেই বাঁচান গিল। ৬০ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর শট বাঁচান গিল। দ্বিতীয়ার্ধেও সংগঠিত আক্রমণ করতে থাকে মোহনবাগান। ৬৪ মিনিটে ফের গোল করার সুযোগ পান লিস্টন। ফের ক্রস করেন মনবীর। তবে বলের কাছে পৌঁছতে পারেননি লিস্টন।
একাব্র পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হলেও, ৮৭ মিনিটে বক্সের মধ্যে পরিবর্ত হিসেবে নামা দিমিত্রি পেত্রাতোস মোহনবাগানকে পেনাল্টি এনে দেন। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। গিল ঠিকদিকে ঝাঁপালেও সেভ করতে পারেননি। এই গোলের ক্ষেত্রেও বিরাট অবদান গ্রেগ স্টুয়ার্টের। তিনিই ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন।
এই জয়ের ফলে ২ নম্বরে উঠে এল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। হারের ফলে শেষেই থাকল ইস্টবেঙ্গল। এখনও একটাও জয় পায়নি লাল-হলুদ। অস্কার ব্রুজো দায়িত্ব নিয়েও হাল ফেরাতে পারলেন না। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বেকায়দায় লাল-হলুদ।