ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোল করার পরেই স্টেনগান সেলিব্রেশনে মেতে উঠল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। ২৭ মিনিটে গোল পায় মোহনবাগান। আর তারপরেই স্টেনগান সেলিব্রেশন করতে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপারকে। আরও একবার মনে করালেন সনি নর্দেকে। শিলিগুড়িতে এমনটা করতে দেখা গিয়েছিল হাইশিয়ান ম্যাজেশিয়ানকে। আইএসএল-এ এর আগে এমনটা করতে দেখা যায় মোহনবাগানের আরেক তারকা দিমিত্রি পেত্রাতোসকে।
সেই সময় ম্যাচটা ডার্বি ছিল না। সনি কাজটা করেছিলেন ডার্বিতে গোল করে। আর রবিবার সেই কাজটা সেরেই সেই সেলিব্রেশন করতে দেখা গেল জেসন কামিন্সকে। পেত্রাতোসের সেলিব্রেশন দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্ট করেন সনি। নিজের কাজটা চালিয়ে যেতে বলেন। আর এদিনের ডার্বিতে প্রথম দুই গোলের ক্ষেত্রেই অবদান সেই প্রেত্রাতোসের। রবিবারের ডার্বিতে যদিও প্রথম সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলই। ১২ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করেন ক্লেইটন সিলভা। নিজেই শট নিতে গিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে শট বাঁচান বিশাল কাইত। তারপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লাল-হলুদ।
২৭ মিনিটে প্রথম গোল খেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রভসুকান গিলের ভুলেই পিছিয়ে পড়ে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। পেত্রাতোসের ডানদিক থেকে নেওয়া শট কোনওমতে গিল বাঁচালেও তা বিপদের বাইরে করতে পারেননি বল গিয়ে পড়ে কামিন্সের পায়ে। ট্যাপ করে গোল করে যান বিশ্বকাপার। তেব একটা গোল নয়, প্রথমার্ধেই তিন গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। পেত্রাতোস ৩৭ মিনিটে ফের গোল করান লিস্টন কোলাসোকে গিয়ে। এক্ষেত্রেও তাঁর শট বারে লাগে। ফিরতি বল ফের পান পেত্রাতোস। বক্সের মধ্যে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা লিস্টনকে পাস দিলে তিনিও ট্যাপ করে বল জালে ঢোকান।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে পেনাল্টি পেয়ে যায় মোহনবাগান। নন্দাকুমারের বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসায় সুযোগ পায় সবুজ-মেরুন। গোল করতে ভুল করেননি পেত্রাতোস।