১০ মার্চ ডার্বি হওয়া নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সামনে আসেনি। তবে মোটামুটি যা ঠিক হয়েছে তাতে ডার্বি রবিবারই অনুষ্ঠিত হবে রাত ন'টা থেকে। তবে সমস্যা রয়েছে সম্প্রচার নিয়ে। এই সময় সম্প্রচার করা সম্ভব নয় বলে এফএসডিএল-কে জানিয়ে দিয়েছে জিও সিনেমা। তা হলে ডার্বি কখন বা কবে আর হলেই বা ক'টার সময়? এই তিন প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা।
এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে শুরু করে দিয়েছেন দুই দলের সমর্থকরাই। রাত ন'টায় খেলা হলে সমর্থকরা ফিরবেন কী করে? রবিবার তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ থাকায় বাসও পাওয়া যাবে না। মেট্রোর তরফ থেকেও রবিবার পরিষেবা দেওয়া হবে বলে কোনও বিবৃতি জারি করেনি। তা হলে ৫০ হাজার দর্শক ফিরবেন কীভাবে? পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকেও ম্যাচের তারিখ চূড়ান্ত না হওয়ায় কিছু বলা হয়নি। তবে তাতে কী সমস্ত দর্শককে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব? অনেকেই আসেন মফস্বল থেকে তাদের কী হবে? সেই প্রশ্নই তুলছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে আবার এর সঙ্গে যোগ করছেন প্রতিপক্ষের প্রতি কটাক্ষও। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল।
ইস্টবেঙ্গল সমর্থক শান্তনু কর্মকার যেমন লিখেছেন, 'আরো তিন ঘন্টা পিছিয়ে দিন,উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ বলে চালিয়ে দেবো মার্কেটে'। সুদীপ সেনগুপ্ত লিখেছেন, 'রাত্রি ১১.০০ টায় খেলা শেষ হবে, ৫০০০০ লোক বাড়ি ফিরবে কী করে???'
১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ থাকায় ডার্বি নিয়ে সংশয় শুরু হয়। সমস্যা হতে পারে তা আঁচ করা গিয়েছিল আগেই। পুলিশের অনুমতি নিতে গিয়েই আশঙ্কা সত্যি হয়ে যায়। বিধাননগর কমিশনারেট জানিয়ে দেয় ১০ মার্চ নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। একে ব্রিগেড তার উপর এশিয়ার সবচেয়ে বড় ডার্বি। তাদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়। এরপর গত কয়েকদিন ধরেই বৈঠক চলছে। তবে সোমবারও কোনও সমাধান সূত্র বেরল না।