বিনা যুদ্ধে একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ে না ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের লড়াই শতবর্ষ পেরলেও সমর্থকরাই শক্তি এই লড়াইয়ে। আইএসএলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে কোনও দিন হারাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal vs Mohun Bagan Super Giant)। শনিবার সল্ট লেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে কি সেই হিসাব পাল্টাবে? এ প্রশ্নে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের কাছে আশার খবর, এখনও এবারের আইএসএল-এ পরপর দুই ম্যাচ জিততে পারেনি হোসে মোলিনার দল।
তবে মোহনবাগান সমর্থকদের আশা সেই হিসেবও বদলে যাবে আজ। মহমেডানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে মনে মনবীর সিং, যেসন কামিন্সরা। অন্য দিকে মরশুমের শুরুতেই টানা চারটি ম্যাচে হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলের ইতিহাসে আর মাত্র একটি দল শুরুতে টানা এতগুলি বা এর চেয়েও বেশি ম্যাচে হেরেছিল। নর্থইস্ট ইউনাইটেড ২০২২-২৩ মরশুমে প্রথম দশটি ম্যাচেই হারে। ইস্টবেঙ্গলও টানা এতগুলি বা এর চেয়ে বেশি ম্যাচ কখনও হারেনি আইএসএলে।
দুই দলের লড়াইয়ে এগিয়ে কারা?
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কলকাতার দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট আটবার। সাত বারই জিতেছে সবুজ-মেরুন বাহিনী। একবার ড্র হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল এফসি আজ পর্যন্ত হারাতে পারেনি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের। দুই দলের দ্বৈরথে মোট ২৫ গোল হয়েছে। মোহনবাগান করেছে ২০টি ও ইস্টবেঙ্গল পাঁচটি। ২০২০-২১ মরশুমে প্রথম ম্যাচে ২-০ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৩-১-এ জেতে মোহনবাগান। ২১-২২ মরশুমে প্রথমে ৩-০-য় ও পরে ৩-১-এ জেতে সবুজ-মেরুন বাহিনী। ২২-২৩ মরশুমের দুই ম্যাচেই ফল হয় ২-০। গত মরশুমের প্রথম লেগে ম্যাচ ২-২-এ ড্র হয় এবং দ্বিতীয় লেগে ৩-১-এ জেতে সেই সবুজ-মেরুন বাহিনীই।
কেমন হতে পারে দুই দল?
ইস্টবেঙ্গল- দেবজিৎ মজুমদার (গোলকিপার), মহম্মদ রাকিব, হেক্টর ইউস্তে, আনোয়ার আলি, প্রভাত লাকরা, সৌভিক চক্রবর্তী, জিকসন সিং, সাউল ক্রেসপো, মাদিহ তালাল, নন্দাকুমার, ডিমানটাকোস
মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট- বিশাল কাইথ (গোলকিপার), আশিস রাই, টম অলড্রেড, আলবার্তো রদ্রিগেজ, শুভাশিস বোস, অনিরুধ থাপা, লালেংমাওইয়া রালতে, মনভীর সিং, লিস্টন কোলাসো গ্রেগ স্টুয়ার্ট, জেমি ম্যাক্লারেন