ডুরান্ড কাপের (Durand Cup 2024) ডার্বি (Kolkata Derby) হয়নি। তবে সেনাবাহিনীর এই টুর্নামেন্টের পরেই মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান (East Bengal vs Mohun Bagan)। তবে কলকাতায় নয়, এই ডার্বি হবে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে। নবাবের শহরে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। আগামী ২ সেপ্টেম্বর লখনউয়ের কেডি সিং স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে কলকাতা ডার্বি (Boro Match)। তবে প্রশ্ন হল, কেন এই ডার্বি কলকাতা ছেড়ে উত্তরপ্রদেশে হবে?
উত্তরপ্রদেশে ডার্বি
কলকাতা তথা বাংলায় ফুটবল দারুণ জনপ্রিয় হলেও, উত্তরপ্রদেশে ফুটবল ততটা জনপ্রিয় নয়। মূলত সেই কারণে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ডার্বি দিয়েই ফুটবলকে জনপ্রিয় করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। আর সেই লক্ষ্যেই এবার কাজ শুরু করল উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)। লখনউতে কলকাতা ডার্বি আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবের। কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং সেই রাজ্যের ফুটবল কর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মূল দল খেলাবে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল?
তাঁর এই প্রস্তাবে রাজি হয় কলকাতার দুই প্রধানও। এই প্রসঙ্গে ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে জানিয়েছেন, 'কলকাতার দুই ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব একটি মহৎ উদ্দেশ্য সফল করতে এগিয়ে এসেছে। এই দুই ক্লাবের ইতিবাচক ভূমিকায় আমি ভীষণ খুশি।' চলতি বছর এখনও ডার্বি দেখারই সুযোগ পাননি দুই দলের সমর্থকরা। কলকাতা লিগে ডার্বি হলেও সেটি কলকাতা লিগের। কারণ সেখানে ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান, কোনও দলই নিজেদের সেরা একাদশ নামায়নি।
তবে ২ সেপ্টেম্বর লখনউ-এর ডার্বিতেও হয়ত মূল দল নামাতে পারবে না কোনও দলই। রিজার্ভ দল এই ম্যাচ খেলবে তবে ডার্বির উত্তেজনা লখনউতে পৌঁছে যাবে। সেটাই আসল উদ্দেশ্য। ৩১ আগস্ট ডুরান্ড কাপের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে হবে মোহনবাগানকে। ২ দিনের মধ্যেই মূল দলকে নামিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি সামনে এএফসি কাপ ও আইএসএল-এর ম্যাচ রয়েছে। কোনও ফুটবলারের চোট লেগে গেলে সমস্যা আরও বাড়বে। সে বিষয় খেয়াল রাখতে হবে দুই দলের কোচকেই।