খেলতে গিয়ে মাঠের মধ্যেই জ্ঞান হারালেন এক তরুণ ফুটবলার। কলকাতা লিগের চতুর্থ ডিভিশনের মৈত্রী সংঘের ফুটবলার মহম্মদ জিশান বুধবার রাজস্থান মাঠে ম্যাচ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন। চতুর্থ ডিভিশনের ম্যা চে মুখোমুখি হয়েছিল মৈত্রী সংঘ ও বেহালা অ্যাুথলেটিক ক্লাব। সেই ম্যাচেই ঘটে এমন ঘটনা।
কী ঘটেছিল?
ম্যা চ চলাকালীন হঠাৎ মৈত্রী সংঘের স্টপার মহম্মদ জিশানের মাথার পিছন দিকে বল লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বল লাগার পর কনকাশন টেস্টের সময় অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করে। এরপর মাঠের মধ্যে ই অচৈতন্যহ হয়ে পড়ে জিশান। মাঠে উপস্থিত কর্তাদের শুশ্রূষায় যদিও জ্ঞান ফিরে পান তিনি। তবে ঝুঁকি নিতে চাননি কর্তারা। সেই সময় মাঠে ছিলেন বেহালা অ্যাপথলেটিক ক্লাবের কর্তা শ্রীমন্ত কুমার মল্লিক। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই জর্জ টেলিগ্রাফ স্পোর্টস ক্লাবের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি অধিরাজ দত্তকে ফোন করে অ্যা ম্বুলেন্সের ব্যিবস্থা করতে বলেন। যদিও মাঠে কেন অ্যাম্বুলেন্স ছিল না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।
বুধবার সব মিলিয়ে লিগের ১৪টি ম্যামচ ছিল। তাই ময়দানের সব মাঠে অ্যাতম্বুলেন্স রাখা সম্ভব ছিল না। তবে বেশ কয়েকটি অ্যাাম্বুলেন্স ময়দানে ছিল। এমনটাই জানানো হয়েছে আইএফএ-এর পক্ষ থেকে। যদিও আইএফএ কর্তারা একটুও সময় নষ্ট করেননি। আইএফএ সচিব অনির্বান দত্তকে ফোন করে জানান জর্জ কর্তা। সঙ্গে সঙ্গে অ্যা ম্বুলেন্সের ব্যকবস্থা করেন অনির্বানও। সেই অ্যা ম্বুলেন্স করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় জিশানকে। তরুণ ফুটবালারের মাথায় সিটি স্ক্যাছন করা হয়। সশরীরে যেতে না পারলেও, ফোনেই খবর রাখছিলেন আইএফএ সচিব। এরপর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আইএফএ অফিস থেকে প্রাক্তন ফুটবলার অমিত ভদ্র, আইএফএ গভর্নিং বডির সদস্য চিত্তরঞ্জন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ফুটবলারকে দেখতে হাসপাতালে যান অনির্বান। হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন আইএফএ সচিব।
ভয়ের কারণ নেই
মাথায় চোট লাগলেও সেই চোট গুরুতর নয় বলেই জানিয়েছেন ডাক্তাররা। বাংলার ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা আইএফএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আহত ফুটবলারের যাবতীয় চিকিৎসা করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা আমাদের জানিয়েছেন,সিটি স্ক্যামন করা হয়েছে। তবে ভয়ের কোনও কারণ নেই। ঔষুধ দেওয়া হয়েছে। কটা দিন বিশ্রামে থাকতে বলেছেন।‘