কলকাতা লিগে অবশেষে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে ৪-২ ব্যবধানে জিতল লাল-হলুদ দল। নৈহাটি স্টেডয়ামে দারুণ ফুটবল খেলে ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দল। বিনো জর্জ ৩-৫-২ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন।
প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই গুনন্দ সিং অসাধারণ ফুটবল খেলেন। বিশেষত প্রথমার্ধে। বিনো তাঁকে রাইট ব্যাক হিসেবে খেলা শুরু করালেও, গোটা মাঠ জুড়ে খেলতে থাকেন নয়া তারকা। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন আমন্দ সিকে। কুশ ছেত্রীও দারুণ ফুটবল খেলেন। ১৭ মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কুশ ছেত্রীর পা থেকেই শুরু হয় আক্রমণ। রাইটব্যাক গুলন্দ সিং শট নেন। সেই শট পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তপেন্দুর গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। ২০ মিনিটে ২ গোলে এগিয়ে যেতে পারত লাল-হলুদ। সার্থকের পাস দেওয়া বল ধরে লিজো বাঁদিক থেকে উঠে আসেন। শট নিলেও সেখান থেকে গোল হয়নি।
২৩ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বক্সের মধ্যে গুনন্দ সিংকে ফাউল করে বসেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিফেন্ডার। ২৫ মিনিটে সার্থক গলুই স্পটকিক থেকে গোল করেন। তবে প্রথম চেষ্টায় বল জালে ঢোকাতে পারেননি তিনি। প্রথম শট তানভীর বাঁচালেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোল করেন সার্থক। যদিও ৩১ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায়, পুলিশের দল। রতন মান্ডিকে বক্সের মধ্যে বাধা দেওয়ায় পেনাল্টি পায় পুলিশ। গোল করেন সুব্রত বিশ্বাস।
৪৬ মিনিটে রাজীব দত্তের গোলে সমতা ফেরায় পুলিশ। রতন মান্ডির ফ্রিকিক পোস্টে লাগে ফিরে আসার মুখেই রাজীব হেডে গোল করে যান। তবে ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন দীপ সাহা। তাঁর ডান পায়ে নেওয়া শট জালে জড়িয়ে যায়। ৭৪ মিনিটে দলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান পরিবর্ত হিসেবে নামা অভিষেক কুঞ্জুম। পুলিশের সুব্রত বিশ্বাস বল দিতে গিয়েছিলেন গোলরক্ষককে। বলটা দারুণভাবে ফলো করছিলেন অভিষেক। বল ধরে ডান পায়ের টোকায় বল জালে জড়ান তিনি। ৪-২ গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ।