ইন্টার মিয়ামিতে অভিষেক ম্যাচেই দুরন্ত ফ্রিকিকে দলের জয় এনে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। সেই গোলের ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই, দারুণ এক গোল করে সকলের নজর কেড়ে নিলেন তীর্থঙ্কর সরকার।
কলকাতা লিগে খিদিরপুরের হয়ে রেলের বিরুদ্ধে ম্যাচে পেনাল্টি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে তীর্থঙ্করের বাঁ পায়ে নেওয়া ফ্রিকিক জালে জড়িয়ে যায়। সেই ভিডিও এখন ভাইরাল। সকলেই মেসির গোলের সঙ্গে তাঁর এই গোলের তুলনা করছেন। তবে ফ্রিকিক নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলার এই ফুটবলার এর আগেও দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। খিদিরপুরে সই করার আগে, তীর্থঙ্কর খেলেছেন মোহনবাগান, মহামেডানের হয়েও। মহামেডানের হয়ে যেমন মোহনবাগানকে ফ্রিকিক থেকে গোল দিয়েছেন, ঠিক তেমনি তার উল্টোটাও দেখা গিয়েছে। দল পিছিয়ে থাকলে তীর্থঙ্করের বাঁ পা যেন ত্রাতা হয়ে ওঠে। কলকাতা ময়দানে এই দৃশ্য তাই নতুন নয়।
বিদেশি ফুটবলারদের খেলা বন্ধ হওয়ায়, একঝাঁক ভারতীয় ফুটবলার দারুণ দারুণ গোল করছেন এবারের কলকাতা লিগে। গত মঙ্গলবার একটা বিশ্বমানের গোল দেখেছেন বাংলার ফুটবল প্রেমীরা। ফ্রি-কিক, বক্সের কোনা থেকে সাইড ভলি, বল জালে, গোলকিপার দর্শকের ভূমিকায়। কিছুই করার উপায় ছিল না তাঁর। ক্যালকাটা কাস্টমসের বিরুদ্ধে দোল হারলেও সৈকত সরকারের করা অসাধারণ গোলের ভিডিও বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাকে পাঠাল বাংলা ফুটবল সংস্থা আইএফএ।
কিছুদিন আগেই আইএফএ-র এক কর্তার মুখে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে শোনা গিয়েছিল। তাঁর ভবিষ্যৎবাণী ছিল, এবারের লিগেও অনেক গোল হবে। আর সেটাই হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, এতদিন স্কোরশিটে নাম থাকত বিদেশি ফুটবলারদের। তাদের চাপে ভারতীয় ফুটবলাররা সুযোগই পেতেন না। তবে এবার ভারতীয় ফুটবলাররা দেখাচ্ছেন, সুযোগ পেলে তাঁরাও গোল করতে পারেন। কলকাতা লিগ শুধু নয়, আইএসএল ও আই লিগ ছাড়া সমস্ত ঘরোয়া টুর্নামেন্টেই এই নিয়ম করেছে এআইএফএফ।