গড়াপেটার অভিযোগ কলকাতা লিগের ম্যাচে। চলতি মরুশুমে প্রিমিয়ার ডিভিশনের পিয়ারলেস স্পোর্টস ক্লাব ও টালিগঞ্জ অগ্রগামীর মধ্যে ম্যাচটিতে গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছে। এই ব্যাপারে তদন্তের জন্য কলকাতা পুলিশের দারস্থ হয়েছে বাংলার ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা আইএফএ।
বিভিন্ন সময়, ঘরোয়া লিগে গড়াপেটা বা ম্যাচ ফিক্সিং-এর অভিযোগ উঠেছে। তবে এই ম্যাচের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য কলকাতা পুলিশের কাছে চিঠি দিয়েছেন সচিব অনির্বাণ দত্ত। এমন ঘটনা এর আগে হয়নি। ম্যাচ গড়াপেটা বিতর্কের নিষ্পত্তি করতে কোনও রাজ্য ক্রীড়া নিয়ামক সংস্থার পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনা প্রথমবার ঘটল কলকাতা লিগকে ঘিরে। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানিয়েছেন, অভিযোগ উঠেছে এবং তা খতিয়ে দেখতে পুলিশের হস্তক্ষেপই সঠিক পদক্ষেপ। তাহলেই প্রকৃত সত্যটা সামনে আসবে। ময়দানে এমন ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে তা অবিলম্বে বন্ধ হবে। আইএফএ গোটা বিষয়টা গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। গড়াপেটা নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। তাই আইএফএ ফুটবলকে কলঙ্ক মুক্ত রাখতে শেষ পর্যন্ত যাবে। দোষী প্রমানিত হলে সংশ্লিষ্ট ক্লাব এবং ফুটবলারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার আগে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।
টালিগঞ্জ বনাম পিয়ারলেস ম্যাচে একটাই গোলে জেতে পিয়ারলেস। আর সেই একমাত্র গোল নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক। ১৮ জুলাই চুচুড়ায় পিয়ারলেস একমাত্র গোলে টালিগঞ্জকে হারায়। সেই গোল নিয়ে অ্যান্টি ম্যাচ ফিক্সিং সংস্থা আইএফএকে চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করে। এর আগে ভারতীয় ফুটবলে ম্যাচ গড়াপেটা সিবিআই পর্যন্ত গড়িয়েছে। যা এখনও তদন্ত হচ্ছে।
ম্যাচ ফিক্সিং বন্ধ করতে এআইএফএফ একটি বেসরকারি অ্যান্টি ম্যাচ ফিক্সিং সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে আইএফএ। ফলে কলকাতা ফুটবল লিগের ওপর নজর রাখছিল সংস্থাটি। সেই নজরদারি করতে গিয়েই টালিগঞ্জ বনাম পিয়ারলেস ম্যাচটি সন্দেহের তালিকায় আসে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ৮৭ মিনিট আটচল্লিশ সেকেণ্ডের মাথায় পিয়ারলেসের সাজন সাহানি একমাত্র গোলটি করেন। সেই গোলের সময় টালিগঞ্জ অগ্রগামীর ডিফেন্ডাররা কার্যত শুধু দাঁড়িয়েই যাননি এক কোনায় সরে যান। গোল হওয়ার সময় টালিগঞ্জ গোলরক্ষক আগেই মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন। এই ছবি দেখে অ্যান্টি ম্যাচ ফিক্সিং কমিটির সদস্যরা চমকে গিয়েছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। ম্যাচ ফিক্সিং সত্যিই হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে আইএফএ এবার পুলিশের দ্বারস্থ।