শরীরে অক্সিজেনের মাত্রার আচমকা পতন। ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন কিংবদন্তি অ্যাথিলিট মিলখা সিং। কয়েকদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সদ্য হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। বাড়ি যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এখন PGIMER হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে। হাসপাতাল থেকে এক বিবৃতি জানানো হয়েছে, কিংবদন্তি এই তারকার শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তিনি আপাতত রয়েছেন।
ফের হাসপাতালে মিলখা সিং
বেশ কিছুদিন আগে থেকেই অসুস্থ হয়েছিলেন মিলখা সিং। তবে হাসপাতালে ভরতি হননি। কোভিড আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই ছিলেন। পরে হাসপাতালে ভর্তি করতে বাধ্য করানো হয় তাঁকে। মিলখা সিংয়ের স্ত্রী নির্মল কৌর করোনার কারণে ভর্তি হন হাসপাতালে। তাঁর এখনও চিকিৎসা চলছে। ২৪শে মে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মিলখা সিং। পরে সেখান থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ৩১শে মে। কিন্তু তার ৪ দিন পরেই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফের অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল তাকে। এর আগেরবার যখন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তখনও তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রার পতন হয়েছিল। এবার সেই অক্সিজেনের মাত্রার পতনের ফলে ফের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় কিংবদন্তি এই অ্যাথিলিটকে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কেরিয়ারের স্মরণীয় রেস
'দ্য ফ্লাইং শিখ' নামে পরিচিত মিলখা সিং অলিম্পিক পদক জিততে না পেরে কেরিয়ারে অনেক স্মরণীয় রেস চালিয়েছেন। অলিম্পিক গেমসে রোমে তার ৪০০ মিটার দৌড়ের জন্য তাঁকে সবচেয়ে বেশি স্মরণ করা হয়, যেখানে তিনি অলিম্পিক ইভেন্টের চূড়ান্ত স্থান অর্জনকারী প্রথম ভারতীয় পুরুষ হয়েছিলেন যেখানে তিনি চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলেন। কিংবদন্তি অ্যাথলিট চারবারের এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদক এবং ১৯৫৮ কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন, তবে তাঁর সবচেয়ে বড় পারফরম্যান্স ছিল ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিকের ৪০০ মিটার ফাইনালে চতুর্থ স্থান অর্জন। ১৯৮৮ সালে পরমজিৎ সিং এটি ভাঙার আগ পর্যন্ত ইতালীয় রাজধানীতে তাঁর সময় ৩৮ বছর জাতীয় রেকর্ড থেকে যায়। তিনি ১৯৫৬ এবং ১৯৬৪ সালের অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং ১৯৫৯ সালে পদ্মশ্রী ভূষিত হন।