আইএসএল (ISL 2024) সূচি প্রকাশ হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ফের সমস্যায় মহমেডান স্পোর্টিং (Mohammedan Sporting)। ইনভেস্টর-ক্লাব দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল সাদা-কালো শিবিরের। বাঙ্কারহিল কর্তা দীপক কুমার সিং (Deepak Kumar Singh) সোমবার রাতে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে স্যোশাল মিডিয়ায় একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন ক্লাব কর্তাদের বিরুদ্ধে। সেখানে বাঙ্কারহিল কর্তাকে বলতে শোনা যায়, শ্রাচী স্পোর্টসের (Sharchi Sports) সঙ্গে যে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই চুক্তি করতে আগ্রহী নয় বাঙ্কারহিল।
কেন ভাঙতে চলেছে এই চুক্তি?
কারণ হিসাবে দীপক কুমার সিং মহমেডান কর্তাদেরই দায়ী করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগও এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চুত্তির আগে বাঙ্কারহিলের সঙ্গে ক্লাব ও শ্রাচী স্পোর্টসের যে 'টার্মশিট' সই হয়েছিল, সেখানে বলা হয়েছিল নতুন বোর্ডে ক্লাব কর্তাদের দু'জন সদস্য শ্রাচী স্পোর্টসের দু'জন সদস্য আর বাঙ্কারহিলের দু'জন সদস্য থাকবেন। কিন্তু পরবর্তী পর্বে মূল চুক্তির সময়ে ক্লাবের পক্ষ থেকে বাঙ্কারহিলকে বলা হয়েছে, তাদের (মহমেডান ক্লাবের) পাঁচজন সদস্য থাকবেন ওই বোর্ডে। বাঙ্কারহিল ও শ্রাচী স্পোর্টসের ২ জন করে সদস্য থাকবেন। এরপর চুক্তিপত্রে সই করতে বেঁকে বসেছেন দীপক সিং। তাঁর আরও দাবি, গত দু'সপ্তাহে এই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও ক্লাব কর্তারা মানতে চাইছেন না। যার ফলে বাঙ্কারহিল এই চুক্তিপত্রে সই করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন ইনভেস্টর কর্তা।
সূত্রের খবর, হাতে খুব বেশি সময় নেই, এর মধ্যেই প্রায় ছয় কোটি টাকা এফএসডিএলকে জমা দিতে হবে মহমেডানকে। সেই দিক থেকে দেখলে, যদি এই চুক্তি সই না হয়, তাহলে বিশাল সমস্যায় পড়বে সাদা-কালো ব্রিগেড। এখানেই থেমে না থেকে ক্লাব যে পূর্বে ঘোষিত শেয়ার তাদের হস্তান্তর করেনি, সে অভিযোগও তুলেছেন দীপক সিং। রাতে মহামেডান সচিব ইস্তিয়াক আহমেদ রাজু যদিও এখনও আশাবাদী। তিনি বলেন, 'টার্মশিটই শেষ কথা নয়। ওটা একটা প্রস্তাব। তারপর চুক্তিপর্ব চূড়ান্ত হয়। আমরা ওদের কথা মতো বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে রাহুল টোডিকে মেনে নিয়েছি। কিন্তু বোর্ডে ক্লাবের পক্ষ থেকে ক'জন থাকবে তা নিয়ে মঙ্গলবার দীপক কুমার সিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নেব। আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।'