scorecardresearch
 

Mohammedan Sporting Club: স্পনসর থাকবে মহামেডানের? গভীর জট

শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও মেজরিটি শেয়ার দাবি করছে বাঙ্কারহিল। সেইসঙ্গে, একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবলের উন্নতি চাইছেন তাঁরা। সবমিলিয়ে বেশ কিছু ভালো পরিকল্পনা রয়েছে ইনভেস্টরদের।

Advertisement
মহামেডান ক্লাব মহামেডান ক্লাব

কলকাতা ময়দানে আবারও ক্লাব বনাম ইনভেস্টর যুদ্ধ। বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই, মহামেডান ক্লাব (Mohammedan Sporting Club) কর্তাদের সঙ্গে বাঙ্কারহিলের (Bunker Hill) দূরত্ব তৈরি হয়। এই মুহূর্তে ইনভেস্টরের সঙ্গে তীব্র সমস্যায় জর্জরিত সাদা কালো ব্রিগেড। 

কিন্তু কেন এমন হল? প্রথমত দল পরিচালনার ক্ষেত্রে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব কমিটির বিভিন্ন সদস্যের হস্তক্ষেপকে ভালোভাবে নেননি ইনভেস্টররা। শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও মেজরিটি শেয়ার দাবি করছে বাঙ্কারহিল। সেইসঙ্গে, একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবলের উন্নতি চাইছেন তাঁরা। সবমিলিয়ে বেশ কিছু ভালো পরিকল্পনা রয়েছে ইনভেস্টরদের। আর তাই সেই সবকিছু মেনে নিলে, তবেই মহামেডান ক্লাবের ইনভেস্টর হিসেবে থাকবে বাঙ্কারহিল।

আরও পড়ুন: মহামেডানে ইনভেস্টর আদৌ থাকবে? দীপেন্দু বলছেন, 'আলোচনায় সমাধান হবে'       

বাঙ্কারহিল কর্তা দীপক কুমার সিং-এর (Dipak Kumar Singh) bangla.aajtak.in-কে বললেন, ‘একটা রিভাইসড চুক্তিপত্র আমরা পাঠাচ্ছি। যদি তাঁরা এটা মেনে নেয়, তাহলেই আমরা ক্লাবের সঙ্গে থাকব নচেৎ নয়। কিছু বাস্তব বিষয়কে তো অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। ক্লাবে যেইরকম ইনভেস্টমেন্ট আমরা করছি, সেইদিক দিয়ে দেখতে গেলে শেয়ার পার্সেন্টেজ ন্যায়সঙ্গত নয়। মেজরিটি শেয়ার আমাদের থাকা উচিৎ। সেইসঙ্গে আমরা ফুটবল দল পরিচালনার ক্ষেত্রে, পূর্ণ স্বাধীনতা চাই। এক্ষেত্রে আমরা কোনও হস্তক্ষেপ চাই না। ক্লাবের এত বড় কমিটি, এর ফলে কাজ করতে অনেক মুশকিল হয়। এত এক্সপেকটেশন ম্যানেজ করা সম্ভব নয়।‘ 

দীপক কুমার সিং আরও জানান, ‘আধুনিক ফুটবলের সঙ্গে ক্লাবকে মানিয়ে নিতে হবে। প্রতি বছর দল তৈরি, নতুন প্লেয়ার সই এবং ফুটবল খেলা এই একটাই প্রসেসে ক্লাব চলে আসছে। এই পদ্ধতিতে আধুনিক ফুটবলে সাফল্য পাওয়া কঠিন। ভারতীয় ফুটবলারদের (Indian Footballers) সাপ্লাই লাইন বাড়ানোর জন্য, ট্যালেন্ট খুঁজে বের করতে হবে। আমরা গ্রাসরুট ডেভেলপমেন্ট (Grassroot Development) এবং যুব ফুটবলে (Youth Football) অনেক বেশি ইনভেস্ট করতে চাই। তাহলেই আমি দীর্ঘ সময় এই ক্লাবকে সাপোর্ট করতে পারব। এটাই এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য।‘ 

Advertisement

অন্যদিকে এক মহামেডান কর্তা bangla.aajtak.in-কে জানালেন, ‘ওরা আমাদের একটা চিঠি পাঠাবে। এখন অনেক ক্লাব, ফুটবলারদের সঙ্গে চার বছরের জন্য চুক্তি করে নিচ্ছে। অন্য কোনও ফুটবলার নিতে গেলে, লোনে নিতে হয়। আর নাহলে বেশি টাকা লাগে। তাই ওরা জানিয়েছে, গ্রাসরুট ডেভেলপমেন্টে জোর দিতে চায়। সেইসঙ্গে, দেশজুড়ে মহামেডান ক্লাবের নামে অ্যাকাডেমি করতে চেয়েছেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে ক্লাব পারমিশন দিয়ে দেবে।‘ 

প্রতিবেদক: শুভঙ্কর দাস
 

Advertisement