কেরল ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) বিরুদ্ধে ম্যাচে মাঠে বিশৃঙ্খলার কারণে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হল মহমেডান স্পোর্টিংকে (Mohammedan Sporting)। এআইএফএফ (AIFF) লিগ কমিটির পক্ষ থেকে সেই জরিমানার চিঠিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্লাব কর্তাদের কাছে। চারদিনের মধ্যেই এই টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এফএসডিএল-এর (FSDL) পক্ষ থেকে জরিমানার অঙ্ক কম হলেও, ক্ষুব্ধ মহমেডান কর্তারা।
কী ঘটেছিল?
কেরল ম্যাচে যখন মহমেডান পিছিয়ে পড়েছিল তখন থেকেই শুরু হয় গণ্ডগোল। ছোড়া হয় বোতল, চটি, সহ নানা জিনিস। শুধু মাঠের মধ্যেই নয়, কেরল সমর্থকদের দিকেও ধেয়ে আসতে থাকে এই সমস্ত জিনিস। যা নিয়ে এফএসডিএল-এর কাছে অভিযোগ করেছে কেরলের ক্লাব। এর আগে কলকাতা লিগের (Kolkata League) বিভিন্ন ম্যাচেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। দল হারতে থাকলে বা তথাকথিত ছোট দলের বিরুদ্ধে ড্র করলে এমন আচরণই করে থাকেন সাদা-কালো দলের সমর্থকরা। প্রাক্তন ফুটবলারদের একাংশের মতে, মহমেডান সমর্থকদের ঝতে হবে তারা আইএসএল খেলছে। এখন আর এমন কিছু করা যাবে না যাতে গোটা দেশের কাছে বাংলার ফুটবলের নাম নাম খারাপ হয়। এর আগে নৈহাটি স্টেডিয়ামেও নকল বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন এক সমর্থক তা নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি।
রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক
মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অভিযোগ, রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এই অভিযোগে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। ক্লাব সচিব ইস্তিয়াক আহমেদ রাজু বলেন, 'মাঠে যেমন বোতল পড়লে ক্লাবদের জরিমানা করা হয়। আমরা বিষয়টি নিন্দা করছি। কিন্তু একজন রেফারি যখন একটার পর একটা ভুল করে দলকে ডুবিয়ে দেন। তার কি শাস্তি হয়। শুধু মহামেডান নয় বাংলার দলগুলো এরকম বাজে রেফারিংয়ের শিকার হচ্ছে বারবার। আমরা রেফারিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে চিঠিও দিয়েছি।'
ক্ষুব্ধ মহমেডান কোচও
ম্যাচের শেষেও মহমেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন, তার সেই মন্তব্যকেও ভালো চোখে দেখেনি এফএসডিএল। মহামেডানের পরবর্তী ম্যাচ হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে। মাঠে সাদা-কালো সমর্থকদের অসন্তোষ প্রকাশ হলেও এখনও পর্যন্ত স্টেডিয়াম খালি রেখে ম্যাচ আয়োজন করার কথা ভাবনা-চিন্তা করেননি মহামেডান কর্তারা। তবে মহামেডান সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি জানিয়েছেন, ইনভেস্টার কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে যুগ্মভাবে সমর্থকদের শান্ত থাকার আবেদন জানানো হবে। তবে তাতে পরিস্থিতি উন্নতি হয় কিনা সেটাই দেখার।