আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলার তৃতীয় ক্লাব হিসেবে আইএসএল-এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলল মহামেডান স্পোর্টিং। এর আগে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ও ইস্টবেঙ্গল দেশের সর্বোচ্চ লিগে খেলছে। তিন বছরের চেষ্টায় সেই জায়গায় এবার মহামেডানও। শনিবার শিলং লাজংকে ২-১ গোলে হারানোর পরেই সাদা-কালো শিবিরের আই লিগ জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তাই এই ম্যাচের পরেই তাঁবুতে শুরু হয় উৎসব। তবে শুধু আই লিগ জিতলেই যে আইএসএল-এর ছাড়পত্র পাওয়া যায় তেমনটা নয়। পাশ করতে হয় ক্লাব লাইসেন্সিংও।
গত মরসুমে পঞ্জাব এফসি আই লিগ জিতে আইএসএল-এ গিয়েছিল। আর এবারো সেটাই হতে চলেছে। তবে আইএসএল খেলতে হলে আরও পাঁচ শর্ত পূরন করতে হবে মহামেডানকে। অর্থাৎ ক্লাব লাইসেন্সিং পরীক্ষায় পাশ করতে পারলেই আইএসএল খেলার ছাড়পত্র মিলবে। মহামেডানের ক্ষেত্রে আর্থিক নিরাপত্তা যেমন একটা বড় বিষয় তেমনই রয়েছে পরিকাঠামোর উন্নয়নের বিষয়ও। মহামেডান ক্লাবের বর্তমান বিনিয়োগকারী সংস্থা বাঙ্কারহিলকে ক্লাবের ৫১ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছেন সাদা-কালো ক্লাব কর্তারা। তবে আইএসএল খেলতে যে বিপুল পরিমাণ খরচ তা জোগাতে এর চেয়েও বেশি অর্থের প্রয়োজন। সেই কারণেই ক্লাব কর্তারা ঠিক করেছেন, প্রয়োজনে আরও শেয়ার তাঁরা বাঙ্কারহিলকে ছেড়ে দেবেন।
যদিও পরের মরসুমে দলের বাজেট কী হবে তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেননি মহামেডান কর্তারা। তবে শুধু অর্থ নয়, দরকার পরিকাঠামো উন্নয়নও। সে দিকেই দ্রুত নজর দিতে হবে কর্তাদের। দীর্ঘদিন ধরেই লিগ জেতার কাছাকাছি ছিল মহামেডান। ফলে পরের মরসুমে আইএসএল খেলার ছাড়পত্র পাওয়া যাবে জেনেই প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছিলেন মহামেডান কর্তারা। ফুটবলারদের সঙ্গে কথাবার্তাও চলছে বলে সূত্রের খবর।
এখনও পর্যন্ত যা আপডেট তাতে আসন্ন ট্রান্সফার উইন্ডোতে একাধিক ফুটবলারকে দলের সঙ্গে যুক্ত করতে পারে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সব ঠিক থাকলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ খেলা নামী বিদেশি ফুটবলারকেও সাদা কালো জার্সি পরে দেখা যেতে পারে মাঠে। জল্পনায় রয়েছে পেরেরা দিয়াজের নাম। যদিও চূড়ান্ত এখনও কিছু হয়নি। তবে সম্ভাবনা রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।