ডুরান্ড কাপের ফাইনাল ম্যাচে চোট পাওয়া আলবার্তো রড্রিগেজকে কি আইএসএল-এর প্রথম ম্যাচে পাবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট? এটাই ম্যাচ শেষে চিন্তায় রেখেছিল সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। তবে মোহনবাগান ফ্যানদের জন্য স্বস্তির খবর, আলবার্তো রড্রিগেজের চোট নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি শুরু থেকেই খেলতে পারবেন।
ইস্টবেঙ্গলে চোট আঘাত সমস্যা মরসুমের শুরু থেকে রয়েছে। ডুরান্ড কাপেও তার প্রভাব দেখা গিয়েছে। তবে মোহনবাগানের সিনিয়র দলে এমন সমস্যা খুব বেশি ছিল না। শুভাশিস বসু সেমিফাইনালে চোট পেয়ে উঠে গিয়েছিলেন। আশঙ্কা ছিল তিনি ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তবে ফিট হয়ে পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন মোহনবাগান ক্যাপ্টেন। তবে আলবার্তো চোট পেলে বড় সমস্যায় পড়তে হত মোহনবাগানকে। একে ডুরান্ড ফাইনালে হার, তার উপর আবার চোট সমস্যা ঘিরে ধরত তাঁদের। তবে এই খবর শোনার পর অনেকটাই চিন্তামুক্ত তারা।
কতটা গুরুতর আলবার্তো রড্রিগেজের চোট?
১ মাস আগে শহরে এসে প্রিসিজন করেছেন আলবার্তো রড্রিগেজ। তারপরেও ডুরান্ড ফাইনালে চোট পেতে হয় তাঁকে। মোহনবাগানের গোল করার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার জায়গা নেই। তবে প্রশ্ন উঠতে পারে ডিফেন্স নিয়ে। সেই ডিফেন্সে ভরসা দিয়েছেন এই স্প্যানিশ। তিন ডিফেন্ডারে খেলা মোহনবাগানকে ৩৯ মিনিটে এই বদল আনতে হয়। সেই সময় সবুজ-মেরুন শিবির এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে। তাঁর জায়গায় নামেন আশিস রাই। ৫৯ মিনিটেই ম্যাচে ফেরে নর্থইস্ট। তারপর আর তাদের পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তবে আলবার্তো রড্রিগেজ চোট পেয়ে না উঠলে ডিফেন্সে আরও ভরসা বাড়ত। তবে তাঁর চোট এতটা গুরুতর নয় যে তিনি মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না।
ডুরান্ড ফাইনালে হার মোহনবাগানের
ম্যাচের ৯ মিনিটেই পেনাল্টি পেয়ে যায় মোহনবাগান। জেসন কামিন্স গুরমীত সিংকে উল্টোদিকে ফেলে গোল করে যান। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। গোল করেন সাহাল আব্দুল সামাদ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান কমায় নর্থ ইস্ট। গোল পান আজারে। ২ মিনিটের মধ্যেই দ্বিতীয় গোলও শোধ করে নর্থ ইস্ট। গুয়েরমোর দারুণ শটে ৫৮ মিনিটে সমতা ফেরায় তারা।
টাইব্রেকারে লিস্টন কোলাসোর শট সেভ করেন গুরমীত সিং। আর শেষে শুভাশিসের শট সেভ করে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন নর্থ ইস্টের এই গোলকিপার।