ডুরান্ড কাপে কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে হবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে। মুম্বই সব সময়ই একটা শক্ত গাঁট মোহনবগানের কাছে। তবুও সেই ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন না কোচ জুয়ান ফেরান্দো।
এএফসি কাপে ঢাকা আবাহনীকে হারানোর পর, ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সবুজ-মেরুন কোচ বলেন, ‘আগামীকাল ফুটবলাররা রিকভারি করবে। তারপর ব্যাপারটা দেখতে হবে। সত্যি বলতে আমি জানি না কী হবে। ১২ জন ফুটবলারকে ভারতীয় দলের ক্যাম্পের জন্য যেতে হবে। সিনিয়র দলেরও বেশকিছু ফুটবলার রয়েছে। তবে আমি খুশি ম্যাচে কোনও ফুটবলারের চোট হয়নি। তবে এই মুহূর্তে পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে পারছি না। বুধবার থেকে এই কাজটা শুরু করব আমরা।‘ মুম্বই-এর বিরুদ্ধেও একই স্ট্র্যাটেজি নিয়ে খেলার কথাই ভাবছেন জুয়ান।
মুম্বই সিটির বিপক্ষে আসন্ন ডুরান্ড কাপ প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, ‘আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ভালোভাবে সেরে ওঠা, কারণ আমাদের ড্রেসিংরুমে সমস্যা আছে। আমাদের কিছু ইনজুরি আছে, তাই আমার লক্ষ্য একটি ভাল রিকভারি সেশন। তারপরে আমরা ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেব। আমাদের বর্তমান নিয়ে ভাবতে হবে। জেসন কামিংসের মতো কিছু খেলোয়াড় ৮০+ মিনিট খেলেছে।‘
মোহনবাগান কোচ বলেন, ‘আমরা সিস্টেম বদলাবো না। ডিফেন্স ও অ্যাটাকে ভারসাম্য রক্ষা করেই খেলতে হবে। ‘তবে সমস্যা হচ্ছে আক্রমণ থেকে ডিফেন্সে যাওয়ার সময়। সেটাও জানান মোহনবাগান কোচ। জুয়ান বলেন্, ‘আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। এখনও ডিফেন্সের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। সেটা আমাদের ঠিক করে নিতে হবে। এটাই আসলে আমাদের কাজ।‘ ১৭ মিনিটের মাথায় গোল হজম করে মোহনবাগান। বিশাল কাইতের ভুলের সুযোগ নিয়ে সবুজ-মেরুনের জালে বল জড়ান কর্নেলিয়াস এজেকিয়েল। পিছিয়ে পড়েও দারুণ ভাবে ফিরে আসে মোহনবাগান।
৩৩ মিনিটে গোল কারার সুযোগ এসে গিয়েছিল মোহনবাগানের সামনে। কর্নার থেকে গোল করে ফেলছিল তারা। ৩৬ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে নেয় মোহনবাগান। বক্সের মধ্যে ফাউল করায় কার্ড দেখতে হয় আবাহনীর ত্রীপুরাকে। স্পট কিক থেকে গোল করে যান সমতা ফেরালেন জেসন কামিন্স। এরপরেও প্রথমার্ধেই গোলের সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন বিশ্বকাপার। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে গোল করে এগিয়ে যেতে পারত ঢাকার ক্লাব। তবে তা হয়নি পোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ানোয়। দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ শুরু করে সবুজ-মেরুন। তখনই আসে দুই গোল।