একে আইএসএল-এ হারের হ্যাটট্রিক, তার উপর আবার ফুটবলারদের পাওয়া নিয়ে সংশয়। সুপার কাপের আগে বেশ সমস্যায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ৯ জানুয়ারি শ্রীনিধি ডেকান এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে সুপার কাপ অভিযান শুরু করবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
কবে ফিট হবেন ফুটবলাররা?
মোহনবাগানের চোট পাওয়া ফুটবলারদের তালিকা বেশ লম্বা। তার মধ্যে আশিক ক্রুনিয়ান বা আনোয়ার আলিদের পেতে সময় লাগবে। পাশাপাশি সাহাল আব্দুল সামাদ বা গ্লেন মার্টিন্সদের পেতে হলে ফেব্রুয়ারি অবধি অপেক্ষা করতে হবে। ফলে মিডফিল্ডে খেলা তৈরি করার ক্ষেত্রে জে সমস্যা দেখা দিয়েছে মোহনবাগানের তা সুপার কাপেও থাকবে বলে আশঙ্কা জুয়ান ফেরান্দোর। পাশাপাশি সমস্যা আরও বেড়েছে সুপার কাপের সময় সাত থেকে আট ফুটবলার জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চলে যেতে পারেন। তাদেরকেও পাওয়া যাবে না। কঠিন পরিস্থিতিতে মোহনবাগানের ভরসা ছয় বিদেশি। বর্তমানে তাঁদের সবার ফর্ম যে সন্তোষজনক নয় তা সকলেই জানেন।
এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দলকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ফিট করে তোলা বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ বলে মানছেন ফেরান্দো। পাশাপাশি আইএসএলের খেতাব ধরে রাখতে কয়েকজন ফুটবলার বদল করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি। বিশেষ করে আক্রমনাত্মক মিডফিল্ডার প্রয়োজন যে বলের যোগান দিতে পারবেন স্ট্রাইকারদের। সাহালের জায়গায় জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন কোনও ফুটবলার চাইছেন তাঁরা। তবে কোনও ফুটবলারকে এখন ফাঁকা পাওয়া বেশ মুশকিল। ভাল ফুটবলারদের প্রায় সকলেই বিভিন্ন দলের হয়ে খেলছে। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে আসতে গেলে ফের মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হবে বা অন্য কোনও ফুটবলারকে ছাড়তে হবে।
ছুটিতে মোহনবাগান ফুটবলাররা
আইএসএল-এর প্রথম পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ায় ছুটিতে চলে গেলেন সবুজ-মেরুন প্লেয়াররা। ৩ জানুয়ারি তাঁরা যোগ দেবেন অনুশীলনে। তবে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত মোহনবাগান সুপার কাপকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ। ইতিমধ্যেই ডুরান্ড কাপ জেতা হয়ে গিয়েছে তাদের। এবার লক্ষ্য আইএসএল। তাই প্রথম পর্বের শেষদিকের ব্যর্থতা ভুলে পরের পর্বের দিকেই ফোকাস করতে চাইছেন হুগো বুমোস, শুভাশিস বসুরা।