আইএসএল-এ চার ম্যাচ পর জয় পেল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সবুজ-মেরুনের জয় ২-০ গোলে। রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পরেই নেমে পড়লেন জনি কাউকো। তিনি মাঠে আসার পর গোল না এলেও খেলা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ বাড়তে থাকে মোহনবাগানের। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে মনবীর সিংরা কিছুটা হলে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিলেন তা বলাই যায়। তবে গোলের সংখ্যা বাড়তেই পারত।
১২ মিনিটের মাথায় অনিরুদ্ধ থাপার গোলে ১-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। কর্ণার থেকে ভাসানো বল হায়দরাবাদের একেবারে গোলমুখে পেয়ে যান অনিরুদ্ধ। বল জালে ঠেলতে ভুল করেননি তিনি। ১৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ থাকলেও তা হয়নি। কামিন্সের শটে বল মাঠের বাইরে চলে যায়।
প্রথমার্ধেই জেসন কামিন্সের গোলে ২-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ফাস্ট হাফের অ্যাডেড টাইমে মনবীরের সাজিয়ে দেওয়া বলে পা ছুইয়ে গোল করেন বিশ্বকাপার। ফর্ম একেবারেই ভাল জায়গায় ছিল না কামিন্সের ফলে তিনি বেশ চাপেই ছিলেন বলা যায়। অবশেষে সেই চাপটা অনেকটা কেটে গেল। এই গোলের পর। এর পরের ম্যাচ শক্তিশালী এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। তাই এই গোল তাঁকে আত্মবিশ্বাস দেবে সেই ম্যাচের আগে।
৫১ মিনিটের মাথায় পেত্রাতসের জোরালো শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বল ক্রসবার ঘেঁষে মাঠের বাইরে চলে যায়। শট টার্গেটে থাকলে গোলের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারত মোহনবাগান। ৬০ মিনিটের মাথায় ছুঙ্গার পাস থেকে বল ধরে মোহনবাগানের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন সানি। তবে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। ৬১ মিনিটে সাহালকে তুলে নিয়ে জনি কাউকোকে মাঠে নামায় মোহনবাগান।
হায়দরাবাদ এফসি-র চলতি আইএসএল অভিযান একেবারেই ভাল নয়। তারা ১৩ ম্যাচের একটিও জিততে পারেনি। ৪টি ম্যাচ ড্র করলেও হেরে গিয়েছে ৯টি ম্যাচ। লিগ টেবিলের একেবারে শেষে থেকে শক্তিশালী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল হায়দরাবাদ। দলে একটাও বিদেশি নেই।