scorecardresearch
 

Kolkata Derby: 'এই মাঠেই বদলা নেব', ডুরান্ডের ফাইনালে উঠেই হুঙ্কার মোহনবাগান সমর্থকদের

ডুরান্ড কাপের শুরুতে সকলকে চমকে দিয়ে ডার্বি জিতে নিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। নন্দালুমারের গোলে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ জিতেছিল কার্লেস লুয়াদ্রাতের ছেলেরা। সেখান থেকে টানা চারম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে মোহনবাগান প্রথমিক ধাক্কা কাটিয়ে পরপর ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠে এসেছে। আর এবার বদলায় নজর তাদের।

Advertisement
এই সেই পোস্টার, দুরন্ত ফর্মে সাদিকু এই সেই পোস্টার, দুরন্ত ফর্মে সাদিকু

ডুরান্ড কাপের শুরুতে সকলকে চমকে দিয়ে ডার্বি জিতে নিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। নন্দালুমারের গোলে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ জিতেছিল কার্লেস লুয়াদ্রাতের ছেলেরা। সেখান থেকে টানা চারম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে মোহনবাগান প্রথমিক ধাক্কা কাটিয়ে পরপর ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠে এসেছে। আর এবার বদলায় নজর তাদের।


যুবভারতীতে সেই পোস্টারই দেখা গেল। এক মোহনাগান সমর্থক লিখেছেন, ‘এই মাঠেই বদলা নেব।‘ ডুরান্ড কাপের ডার্বি হয়েছিল যুবভারতীতে। আবার ফাইনালও হবে এখানেই। ডার্বি জেতার পাশাপাশি ট্রফি জেতার আনন্দে মাততে চান দুই দলের সমর্থকরাই। রবিবারের ডার্বিতে টিকিটের চাহিদা যে অনেকটাই বাড়বে তা বলাই যায়। বৃহস্পতিবারের ম্যাচে পিছিয়ে পড়েছিল মোহনবাগান। তবে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় সবুজ-মেরুন। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের মতোই পিছিয়ে পড়েও দারুণ ভাবে ফিরে আসে মোহনবাগান। শুরুটা ভালোই করেছিল সবুজ-মেরুন। ১৫ মিনিটের মধ্যে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনলেও গোল তুলে আনতে পারেননি দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিন্সরা।

ম্যাচের ২৩ মিনিটে মোহনবাগানের ডিফেন্সের ভুলে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। গোল করেন নোহা সাদোই। ৩৭ মিনিটেই গোল করার আবার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল গোয়া। এর পরের মিনিটেই সমতা ফেরায় মোহনবাগান। বক্সের মাথায় জয় গুপ্তা আশিক ক্রুনিয়ানকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। যদিও এই পেনাল্টি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। শুরুতে রেফারি ফ্রি কিকের সিদ্ধান্ত নিলেও, লাইন্সম্যানের সঙ্গে কথা বলে পেনাল্টি দেন। স্বাভাবিক ভাবেই ছুটে এসে রেফারির সঙ্গে তর্ক জুড়েছিলেন গোয়া ফুটবলাররা।
তবে তাতে সিদ্ধান্ত বদল হয়নি রেফারির। পেনাল্টি থেকে সহজেই গোল করে যান মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের বিশ্বকাপার তারকা জেসন কামিন্স। প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল গোয়া। 

Advertisement


দ্বিতীয়ার্ধেও দাপটের সঙ্গেই খেলতে দেখা যায় কার্ল ম্যাকহিউ, সন্দেশ ঝিঙ্গানরা। তবে বিশাল কাইতকে পরাস্ত করতে পারেননি। ৬১ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা আর্মান্দো সাদিকু। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শট করেন তিনি। নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধেই মারাত্মক ভুল করে বসেন সন্দেশ ঝিঙ্গন। সেখান থেকেই বল পেয়ে গিয়েছিলেন সাদিকু। ভুল বুঝে উঠে দাঁড়ালেও, সাদিকুর শরীরের দোলায় ফের ছিটকে পড়েন ভারতীয় দলের ডিফেন্ডার। সেখান থেকে দেখে শুনে গোলার মতো শট মারেন সাদিকু। জালে জড়ায় বল। 

আরও পড়ুন


এর কিছুক্ষণ আগেই হুগো বুমোসের জায়গায় সাদিকুকে নামান জুয়ান ফেরান্দো। এরপরেই খেলায় ফেরে মোহনবাগান। যদিও এফসি গোয়া আক্রমণ করলেই, রক্ষণে বেশ ভয় দড়াচ্ছিলেন উদান্তা, রাওলিন বর্জেস, নোহারা। যদিও গোল হয়নি। সেই জন্যই ফাইনালে উঠে গেল মোহনবাগান। ৮১ মিনিটে জয় গুপ্তার শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। এরপর দুই দলই সুযোগ পেলেও গোল সংখ্যা বাড়েনি। জয় গুপ্তা সংযুক্তি সময় ফ্রিকিক থেকে হেড করলেও দারুণ সেভ করেন বিশাল। 

Advertisement