লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা ওড়িশা এফসি-র (Odisha FC) বিরুদ্ধে খেলতে নামছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। তবে দলের সঙ্গে ভুবনেশ্বরে যাননি ব্রেন্ডন হ্যামিল। শোনা গিয়েছিল, চোট কাটিয়ে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন হ্যামিল। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচেই চোট পেয়েছিলেন আনোয়ার আলি ও হ্যামিল। দলের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলতে পারেননি হ্যামিল। গত ম্যাচেই নর্থইস্টের বিরুদ্ধে পরিবর্ত হিসেবে নেমেছিলেন আনোয়ার।
ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে কোচ আশ্বস্ত করেছেন, দুই ফুটবলারই এখন পুরোপুরি ফিট। তবে তাঁরা যে শুরু থেকেই ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে মাঠে থাকবেন এমন নিশ্চয়তা দেননি তিনি। তবে মনে করা হয়েছিল, তিনি সুস্থ থাকলে খেলতে নামবেন। ভুবনেশ্বর যাওয়ার আগে মোহনবাগান কোচ আন্তনিও লোপেজ হাবাস বলেছিলেন, ‘ও সুস্থ হয়ে উঠেছে। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৩০ মিনিটের কিছু বেশি সময় খেলেছে আনোয়ার।’ কোচের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরু থেকে আনোয়ার থাকবেন কি না উত্তরে তিনি বলেন, ‘হতে পারে। আনোয়ার ঠিক আছে, তাই খেলতে পারে।’
ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচ যে খুবই কঠিন তা লিগ টেবিলের দিকে তাকালেই পরিস্কার। তবে মোহনবাগান দ্বিতীয় পর্বে এখনও একটাও ম্যাচ হারেনি। আত্মবিশ্বাসে ফুটছেন শুভাশিস বসুরা। এই অবস্থায় টানা চার ম্যাচ অপরাজিত থাকার ধারা অব্যাহত রাখতে চাইবে তারা। বিশেষ করে এই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে আসা এখন তাদের লক্ষ্য। এই মরসুমে লিগ শিল্ড জিততে হবে মোহনবাগানকে। আইএসএল জিতলেও, এখনও শিল্ড জেতা হয়নি মোহনবাগানের। আর সেই আক্ষেপ পূরণ করার পাশাপাশি আইএসএল জেতাও লক্ষ্য থাকবে সবুজ-মেরুনের।
সের্জিও লোবেরা কোচ হিসেবে দারুণ কাজ করছেন ওড়িশার হয়ে। সুপার কাপ রানার্স হওয়ার পর, আইএসএল-এও দারুণ ছন্দে ওড়িশা। ১৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা। ১৪ ম্যাচ খেলে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে মোহনবাগান। দুই নম্বরে রয়েছে মুম্বই সিটি এফসি। ১৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট পেয়েছে তারা।