আবারও বিপাকে পড়েছেন নেপালি ক্রিকেট দলের তারকা খেলোয়াড় ও প্রাক্তন ক্যাপ্টেন। শুক্রবার কাঠমান্ডুর একটি আদালত তাঁকে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে। পরের শুনানিতে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করা হবে।
গত বছরের আগস্টে কাঠমান্ডুর একটি হোটেল রুমে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করার পর গত বছরের আগস্টে তাকে গ্রেফতার করার পর জানুয়ারিতে নেপালের একটি আদালত তাঁকে খালাস করে দেয়।২৩ বছর বয়সী সন্দীপ লামিছনে নেপালের প্রথম ক্রিকেটার যিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলেছেন। তিনি দিল্লি ক্যাপিটালস ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ২০১৮ সালে খেলেছেন।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার বিচারপতি শিশির রাজ ঢাকলের সিঙ্গেল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রবিবার চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। এরপর শুক্রবার কাঠমান্ডু জেলা আদালত ধর্ষণ মামলায় সন্দীপকে দোষী সাব্যস্ত করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী শুনানিতে এই ক্রিকেটারের শাস্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
সন্দীপ বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। গত ১২ জানুয়ারি পাটন হাইকোর্ট তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দেয় । এরপর ক্রিকেটে ফিরেও আসেন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় লিগ ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। 'কাঠমান্ডু পোস্ট'-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে আদালত আরও বলেছে যে ঘটনার সময় নির্যাতিতা নাবালক ছিলেন না, এমনটাই আগে রিপোর্টে বলা হয়েছে।
শুক্রবার যখন সন্দীপকে যখন দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, সেইটা সময় তিনি বীরগঞ্জে নেপাল প্রো ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে খেলছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে পারসা ক্লাব একাদশকে হারিয়ে দেয় নেপাল আর্মি ক্লাব। ম্যাচে তিন উইকেট নেন সন্দীপ।
এই মামলায় কাঠমান্ডুতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ নেপাল (ক্যান) ক্যাপ্টেন লামিছানেকে সাময়িক বরখাস্ত করে । এর পর খবর আসে কাঠমান্ডু থানায় লামিছানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সেই সময়, লামিছনে সিপিএল ২০২২-এ জ্যামাইকা তালাওয়াসের হয়ে খেলছেন। অভিযুক্ত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাব। অক্টোবরের শুরুতে কাঠমান্ডুর বিমানবন্দরে নামার সময় তাঁকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ আগে, লামিছনে ফেসবুকে লিখেছিলেন তিনি তদন্তের সব পর্যায়ে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য আইনি লড়াই করবেন। সন্দীপ তখন বিষয়টিকে 'ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগ' বলে অভিহিত করেছিলেন।